চালককে সচেতন পুলিশের।
বড়দিনের ছুটিতে সৈকত শহর দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার ভিড় শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। হাওড়া থেকে দিঘায় যাওয়াপ ট্রেন তো আছেই। পাশাপাশি কলকাতা থেকে সড়ক পথে সরকারি-বেসরকারি বাসে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে দিঘায় যান বহু পর্যটক। আর উৎসবে আনন্দ নির্বিঘ্ন থাকে সে জন্য পথ দুর্ঘটনা রুখতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ।
সড়ক পথে দিঘাগামী বাস-সহ বিভিন্ন গাড়ির চালকদের জোরে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে বোঝানো শুরু করেছে পুলিশ। তা ছাড়া রাতে গাড়ি চালানোর সময় চালকেরা যাতে ঘুমিয়ে না পড়েন তার জন্য সড়ক পথে বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশের তরফে গাড়ি থামিয়ে চোখ-মুখ ধোয়ার জল ও চা পান করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য কলকাতা থেকে সড়ক পথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার কোলাঘাটের কাছে রূপনারায়ণ সেতু থেকে তমলুক, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, খেজুরি, মারিশদা, কাঁথি ও রামনগর হয়ে দিঘা পর্যন্ত ৯টি থানা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ‘স্টপ সেন্টার’ চালু করেছে। সোমবার বিকেল থেকেই এই ‘স্টপ সেন্টার’ চালু হয়েছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে সড়ক পথে যাওয়ার সময় বহু ক্ষেত্রে গাড়ির চালকেরা ঘুমিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। চালকদের ‘স্টপ সেন্টারে’ গাড়ি থামিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে বারণ করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাতে যাতায়াত করা বিভিন্ন গাড়ি স্টপ সেন্টারে থামিয়ে চালকদের চোখ-মুখ ধোয়ার জল দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে গরম চা। যাতে চালকেরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে না পড়েন।
এদিন চণ্ডীপুর বাজারের কাছে স্টপসেন্টারে জেলা ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডলের নেতৃত্বে গাড়ি চালকদের সচেতন করতে পথে নামেন চণ্ডীপুর থানার ওসি ইমরান মোল্লা ও থানার ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক কল্যাণ কুন্ডু সহ পুলিশ বাহিনী। জেলা ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক জানান, দিঘা যাওয়ার পথে পর্যটকদের গাড়ি যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে সে জন্য সতর্কতা হিসেবে স্টপসেন্টার চালু করে চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দিনরাত এই স্টপ সেন্টার চালু থাকবে।