হাফ ম্যারাথনের আগে। —নিজস্ব চিত্র
শাল পিয়ালের জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি পাথরের গা বেয়ে নেমে গিয়েছে রাস্তা। যত দূর চোখ যায়, জঙ্গল আর জঙ্গল। শীতে পাতা ঝড়েছে। তারও আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। তাতর ফাঁকেই চড়াই-উতরাই ভরা রাস্তা। মাওবাদী উপদ্রব কাটিয়ে শান্তি ফিরতেই প্রকৃতির কোলে এমনই চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য নজর কাড়ছে পর্যটকদের। এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে হোম স্টে এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বেলপাহাড়ির বিস্তীর্ন এলাকা।
এক সময় বেলপাহাড়ির জঙ্গল এবং লাগোয়া গ্রামাঞ্চল ছিল কার্যত মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল। কিন্তু এখন শান্তি ফিরেছে। জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের টহলদারি চলছে। নজরদারি চলছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। আর এই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত হতেই টানছে পর্যটকদের। গড়ে উঠেছে হোম স্টে থেকে শুরু করে বেশ কিছু হোটেল।
পর্যটনেকর প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন ‘হোটেল ওনার্স ঝাড়গ্রাম’ এবং ‘ওয়েসিস হোম স্টে’। রবিবার সেই উদ্দেশ্যেই উত্তম ধরের স্পোর্টিভ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগে বেলপাহাড়ির গাড়ড়াসিনি পাহাড়ের কোলে আয়োজন করা হয়েছিল হাফ ম্যারাথন। অংশ নেন ৯৫ জন। তিনটি বিভাগে প্রথম তিন স্থানাধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। গ্রহণকারীদের দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ও মেডেল দিয়ে।
ঝাড়গ্রাম পর্যটন প্রসারে এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। উদ্যোক্তাদের অন্যতম ‘ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর অরিন্দম দত্ত বলেন, ‘‘বেলপাহাড়ি-সহ জঙ্গলমহলের পর্যটনকেন্দ্রগুলি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতেই এই উদ্যোগ।’’ ঝাড়খণ্ড অসম, নেপাল থেকেও এসেছিলেন প্রতিযোগীরা। ৭৭ বছরের এলিনা চক্রবর্তী মেঘালয়ের শিলং-এর বাসিন্দাও শামিল হয়েছিলেন এই উদ্যোগে।