তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে জোটের রাস্তা খোলা রেখেই পূর্বের ১৬ টি বিধানসভা আসনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ময়না ও ভগবানপুর বিধানসভায় কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। আর বামফ্রন্ট ১৪ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের নামে দেওয়াল লিখনও করা হয়েছে। কিন্তু বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের একত্রে পথে নামার ছবি চোখে পড়েনি তেমনভাবে।
শেষ পর্যন্ত বামফ্রন্টের তরফে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানানোয় দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা কাটে। জোটের বার্তা দিতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জেলা নেতারা শনিবার একসঙ্গে বৈঠকে বসেন। শনিবার সকালে তমলুকের নিমতৌড়িতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আনোয়ার আলি, রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতীন্দ্রমোহন সাহু ও তিন জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস করমহাপাত্ররা। বৈঠকে সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, প্রাক্তন জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান ছাড়াও সিপিআই জেলা সম্পাদক অশোক দিন্দা, আরএসপি জেলা অমৃত মাইতি, ফব জেলা সম্পাদক গোপাল মাইতি, ডিএসপি জেলা সম্পাদক বিষ্ণুপদ ঘড়া প্রমুখ নেতারা হাজির ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বৈঠকে আলোচ্য সূচির প্রধান বিষয় ছিল জোট প্রার্থীদের সমর্থনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের যৌথ প্রচারের কৌশল। জোট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নামার জন্য কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেন সিপিএম নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতাদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলার সব বিধানসভায় জোট প্রার্থীদের সমর্থনে দেওয়াল লিখনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে বিধানসভা স্তরে যৌথ নির্বাচনী কমিটি গঠন
করা হবে।
নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের শক্তঘাটি হিসেবেই পরিচিত। গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ টি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। এ বার সেই বিরোধী শূন্য দশা মুছতে মরিয়া বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস দু’পক্ষই। জেলা কংগ্রেস সভাপতি আনোয়ার আলির স্বীকারোক্তি, ‘‘প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই জেলা সিপিএম অফিসে জোট প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। তৃণমূল সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়াই করার জেলার সব বিধানসভায় যৌথভাবে প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচন কমিটিগুলির তরফে জেলার প্রতিটি বিধানসভায় কগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। যৌথভাবে প্রচারের জন্য কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’