হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে কোন অভ্যাসে রাশ টানবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে কৃত্রিম রঙের সাহায্য পাকা চুল ঢেকে ফেলা মোটেও কঠিন কাজ নয়। তবে বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে গেলে রোদ্দুরে ঘোরাঘুরি আর ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। চুলে রং লাগানোর মতো চটজলদি সমাধান এ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। এ ছাড়াও থাকে নানা ধরনের খনিজ। ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের পোস্ট মেনোপজাল অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এ কথাও ঠিক যে, বেশি বয়সে হাড়ের ক্যালশিয়াম কমে গিয়ে হাড়ে ঘুণ ধরার মতো সমস্যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। ৪০-এর পরে তাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাই বাড়তি সতর্কতা। জেনে নিন, বৃদ্ধ বয়সে বাতের রোগের ঝুঁকি কমাতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১) হাড়ের ক্ষয় আটকাতে ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দেওয়া উচিত। দুধ, দই, ছানা খাওয়া সবচেয়ে ভাল, যাঁদের দুধে অ্যালার্জি আছে তাঁরা বিকল্প হিসাবে সয়াবিনের দুধ, টোফু খেতে পারেন। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম পাবেন যে কোনও সবুজ শাকসব্জিতেও। রোজ নিয়ম করে মাছ, মুরগি, ডিমও খাওয়া দরকার।
২) ৪০ পেরোনোর পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়লে পুরো শরীরের ভার হাঁটুর উপরে পড়তে শুরু করে। তাই হাঁটু ব্যথার সমস্যা বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। এ ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে রোজের একটা ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে পারেন।
৩) অতিরিক্ত ধূমপান করলে পুরুষদের টেস্টোস্টেরোন হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে হাড় হালকা হতে শুরু করে। নিয়ম করে মদ্যপান করলেও হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ধূমপান আর মদ্যপান আগে বন্ধ করতে হবে। বংশের ধারা থাকলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
৪) শরীরে পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকলে হাড়ের সন্ধিগুলিতে থাকা তরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হাড় ভঙ্গুর হতে শুরু করে। তাই শরীরে জলের ঘাটতি হতে দিলে চলবে না।
৫) নিজেকে সব সময় সচল রাখতে হবে। এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করা যাবে না। অফিসে বসে কাজ হলে সচেতন ভাবে ঘণ্টাখানেক পর পর চেয়ার থেকে উঠে ঘোরাফেরা করুন। বয়স বাড়লে অনেকেই শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। ভারী শরীরচর্চা না করলেও হালকা ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। সকালে বা বিকেলে হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটুর ব্যায়াম করুন।