ফের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তৃণমূলের ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। এ কথা জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।
রবিবার ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন অজিত। সোমবার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সদস্যরা শুভেন্দুকে চাইছেন না। উনি নির্লজ্জের মতো এখনও পদ আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। উনি যখন অন্য রাজনৈতিক দলে চলে গিয়েছেন তখন কেন পড়ে আছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রবিবার আমি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। পরিচালন সমিতির ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা লিখিতভাবে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। ওঁকে বহিষ্কার করা হোক। না হলে ওঁর বিরুদ্ধে আমরা অনাস্থা আনতে চাই।’’
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে অজিত বলেন, ‘‘দু’বছর ব্যাঙ্কে আসেননি উনি। না এসে মানুষের সম্পদকে নষ্ট করছেন। নিজের স্বার্থে উনি ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করেছেন। কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ওঁকে সরানো হয়েছে। এ বার মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরেই ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা সভাপতি। বাকি সদস্যদের মতামত নেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে ব্যাঙ্কের স্পেশ্যাল অডিট শুরু হয়েছে। অর্থ দফতরের আধিকারিকরা সেই অডিট শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি প্রদীপ পাত্র বলেন, ‘‘শুভেন্দু এখন অন্য পথের পথিক। তাই মতের মিল হচ্ছে না। দলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।’’
বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নিজস্ব চিত্র
২০১৯ সালে বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচন হয়েছিল। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যাঙ্কের বৈঠক হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে। সেই বৈঠকে শুভেন্দু হাজির ছিলেন। তৃণমূলের এই পদক্ষেপের পরে যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ট এক নেতা জানিয়েছেন, সমবায় আইন অনুযায়ী নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে অনাস্থা এনে সরানো যায় না। এখন দেখার এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়।