আহত খগপতি। নিজস্ব চিত্র
কীর্তনের আসরে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের দিকে। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে। জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ভানু মাহাতো এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খগপতি মাহাতো ওই বিজেপি কর্মী কীর্তনের আসরে ছিলেন। তাঁর বাড়ি জামবনির বাঘুয়ায়। শনিবার রাত একটা নাগাদ তাঁকে ডেকে নিয়ে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খগপতির মা বালিকা মাহাতো রাতে পুলিশে মোট ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে ভানুরও।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর অভিযোগ, ‘‘মাওবাদী থেকে যারা তৃণমূলে গিয়েছে, তারাই এ কাজ করেছে। তৃণমূল ফের সন্ত্রাসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আসলে মানুষ যে ওদের পাশে নেই বুঝে গিয়েছে।’’ যদিও ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার দাবি, ‘‘ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’’ তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানান, দলের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। হয়তো পুরনো কোনও বিবাদ ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা।
বছর কুড়ির খগপতিকে শুরুতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়ে তাঁকে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিজেপির অভিযোগ, শান্তনু মাহাতো এবং কবি মাহাতো নামে দুই তৃণমূল কর্মী গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।