তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার জেরে উত্তপ্ত এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুক্রবার দুপুরে সভা করেন পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদার হরিপুর ৭ নম্বর অঞ্চলে। অভিযোগ, তাঁর সভার আগের রাতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বোমা হামলা হয়। তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও। সব মিলিয়ে দিলীপের সভার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতেই কেউ বা কারা তৃণমূলের পার্টি অফিসে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির অভিযোগ, এলাকায় শুক্রবার বিজেপির একটি সভা ছিল। তাই বিজেপির প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য দলের কর্মীদের সতর্ক করে সন্ধ্যার পরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সকালে খবর পেলাম পার্টি অফিসে বোমাবাজি হয়েছে। পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় দলের কর্মীরা জমায়েত হলেও তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয় যাতে পরিস্থিতি খারাপ না হয়। পুলিশকে বলা হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা জড়িত।”
হরিপুরে তৃণমূলের এই পার্টি অফিসের অদূরেই এক মাঠে সভা করেন দিলীপ। পার্টি অফিসে হামলার ঘটনার জেরে তৃণমূলের কর্মীরা সেই সভা বানচালের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ বিজেপির। মাইক খুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়। বিষয়টি নাকি পরে জানতে পেরে শৈবাল সেখান থেকে তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছেন।
সকালে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস দাবি করেন, রাজ্য সভাপতির সভার আগে নিজেদের দলের কেউ গণ্ডগোল করতে যাবে না। তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগ করছে। ওখানে রাতে তৃণমূলের লোকেরাই গণ্ডগোল শুরু করে। সভার মাইক খোলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু বিজেপি কর্মীরা তা করতে দেয়নি। ওদের প্ররোচনায় না যাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোমাবাজির রাজনীতি তৃণমূল করে করে।
বোমাবাজির ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। তবে দিলীপ ঘোষের সভা ঘিরে কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি।