রেল ওয়ার্ডে গিয়ে ধন্যবাদ প্রদীপের 

শনিবার খড়্গপুরের রেল ওয়ার্ড দিয়ে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রদীপ। এ বারের উপ-নির্বাচনে এই রেল ওয়ার্ডে ঘুরে দাঁড়ানোই ছিল তৃণমূলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩৩
Share:

আরামবাটিতে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

দল প্রতিষ্ঠার পরে প্রথম বারের জন্যই খড়্গপুর বিধানসভায় জিতেছে তৃণমূল। সেই আবহেই সোমবার রেলশহরে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে পথে নামলেন নব-নির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপ সরকার।

Advertisement

শনিবার খড়্গপুরের রেল ওয়ার্ড দিয়ে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রদীপ। এ বারের উপ-নির্বাচনে এই রেল ওয়ার্ডে ঘুরে দাঁড়ানোই ছিল তৃণমূলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল বিজেপি। উপ-নির্বাচনে ছবিটা পুরো উল্টে গিয়েছে। এ বার প্রতিটি ওয়ার্ডেই জিতেছে তৃণমূল। আগামী নির্বাচনেও এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল। প্রদীপ বলছেন, “মানুষ অনেক আশা নিয়ে লোকসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়ে ঠকেছে। তাই এ বার আমরা রেল ওয়ার্ডে জিতেছি। তাই সেখানে গিয়ে ধন্যবাদ জানালাম। আগামীদিনে শহরের সব জায়গার মানুষের কাছে এভাবেই পৌঁছে যাব আমরা।”

এ দিন প্রদীপ প্রথমে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের গেটবাজারে যান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কায়দায় একটি চা-দোকানে ঢুকে জনসংযোগ করেন। তার পরে চলে যান ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে আরামবাটির একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে শিশুরা সুষম খাদ্য পাচ্ছে কি না খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন শিশুদের পরিজনেদের সঙ্গে। তার পরে যান আরামবাটিতে পার্কে। নবনির্মিত এই পার্কটি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের পরিকল্পনা করছে পুরসভা। পার্কের শেষ মুর্হূতের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। তারপরে বাইক দুর্ঘটনায় জখম এক যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। এরপরে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মথুরাকাটি এলাকায় যান। পুরপ্রধান তথা বিধায়ককে সামনে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা রেলের জমিতে জমা জল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন প্রদীপ। ফের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এসে অন্ধ্র হাইস্কুলের মাঠে যান ক্রীড়াপ্রেমী বিধায়ক। স্থানীয় যুবকেরা মাঠে দু’টি গোলপোস্টের দাবি জানালে তা মেনে নেন তিনি। পরে ওই ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

এ জিন প্রদীপ বলেন, “মানুষ তাঁর কাজ করেছে। এ বার আমাকে তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে। সেই কাজ শুরু করেছি। অভাব-অভিযোগ শুনেছি। সাধ্যমতো সেগুলি পূরণের চেষ্টা করব। কেউ রাতে বিপদে পড়লেও আমি পাশে থাকব বলে জানিয়ে এসেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement