TMC

তৃণমূল বিধায়করা কেউ খুন্তি ধরছেন কেউ খামারে ঝাড়ছেন ধান, কটাক্ষ করছে বিজেপি

বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বেরিয়ে এমন করেই জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা গেল ২ বিধায়ককে। তবে বিরোধীরা আবার এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৩৭
Share:

জনসংযোগে মমতা ভূঁইয়া, শঙ্কর দোলুই। নিজস্ব চিত্র।

সামনে নির্বাচন। তাই আগে যে বিধায়কের সঙ্গে দেখার করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হত তাঁরাই এখন এসে বাড়ির ধান ঝেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন, কাঠ কেটে দিচ্ছেন। এমনই কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। যেখানে বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বেরিয়ে এমন করেই জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা গেল ২ বিধায়ককে। তবে বিরোধীরা আবার এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

Advertisement

বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বেরিয়ে ঘাটালে বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দেখা গিয়েছে এক গৃহস্থের হেঁশেলে ঢুকে খুন্তি ধরতে। খামারে গিয়ে ধান ঝাড়াতেও হাত লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ বা কুড়ুল নিয়ে কাঠ কাটতেও দেখা গিয়েছে শঙ্করকে।

পিছিয়ে নেই দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইয়াও। তিনি তাঁর এলাকায় বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বেরিয়ে বেনাইগ্রামে ধান ঝাড়েন। সে ছবি আবার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোডও করেছেন। মমতা বলেন, “আমার বাড়ির কাজ আমি নিজের হাতেই করি। নিজের হাতে ধান ঝাড়ার কাজও করেছি। বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়ে যখন দেখি এক দম্পতি ধান ঝাড়ছেন তখন তাঁদের কাজে সহযোগিতা করি। দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়েও মানুষের কাজ করেছিলাম।”

Advertisement

কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মূর্মুকেও দেখা গিয়েছে ধান ঝাড়তে। তার কথায়, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁদের সমস্যার কথা শোনা এবং বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়ে দলের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁদের কাজে একটু সময় দিতে পেরে ভাল লাগছে। কেশিয়াড়ির ঘৃত গ্রাম, পচাখালি, কুসুমপুর, দাঁতনে আগুয়া, খাজরা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে ধান ঝেড়ে এসেছি। এতে কে কী ভাবল তা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই।

তৃণমূল বিধায়কদের এই সব কাজে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিতকুমার দাস কটাক্ষ করে বলেন, “১০ বছর ধরে মানুষের কাজ করেনি ওঁরা। এখন নৌকা টলমল হয়েছে দেখে মানুষের কাজ করতে শুরু করেছে। এতে কোনও লাভ হবে না। এই নাটক করে ২০২১ বৈতরণী পার করার পরিকল্পনা করলেও মানুষ ওই সব বোঝেন। মানুষ ওদের বিশ্বাস করেন না।”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি পাল্টা বলেন, “আসল নাটক বিজেপিই করছে। মানুষের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ ওদের নেই। বুথে যাওয়ার লোক পর্যন্ত নেই। বেইমানকে নিয়ে কিছু করতে পারবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement