নিজস্ব সংবাদদাতা
tmc

বিজেপি-র কেউ নেই তো! চলছে আগাম খোঁজ 

শাসকদলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিরা প্রায় প্রত্যেকেই এখন বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তবেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন।

Advertisement

গড়বেতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১০
Share:

প্রতীকী চিত্র

বিজেপি নেতাদের পাশে বসলেই শো-কজ হতে হচ্ছে। তাই আগাম সতর্ক তৃণমূল নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিরা। আগাম খবর নিয়ে, ভাল করে জেনেশুনেই অনুষ্ঠানে পা রাখছেন তাঁরা।

Advertisement

দুই মেদিনীপুরের দুই তৃণমূল বিধায়ক শো-কজের মুখে পড়া নিয়ে দলের মধ্যেই শোরগোল চলছে। এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসকে মেলার মঞ্চে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে, আর শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের সঙ্গে স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা যাওয়ায় দুই বিধায়ককে শো-কজ করে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, তাঁরা বিজেপির নেতাদের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানের একই মঞ্চে ছিলেন। যা দলের নির্দেশ অমান্য করারই শামিল।

এমন কোপে যাতে পড়তে না হয়, সে জন্যই শাসকদলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিরা প্রায় প্রত্যেকেই এখন বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তবেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগেই চন্দ্রকোনা রোডের একটি স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন জেলার এক বিধায়ক। অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়োজক থেকে স্থানীয় স্তরে দলীয় নেতাদের থেকে জেনেবুঝে তবেই যান ওই বিধায়ক। জেলাপরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ তো একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া বাতিল করে দেন সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য থাকবেন বলে।

Advertisement

পঞ্চায়েত স্তরের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও এখন খোঁজখবর নিয়ে তবেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানাচ্ছেন। গোয়ালতোড়ের পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা যুব তৃণমূলের ব্লকের কার্যকরী সভাপতি চিন্ময় মাহাতো মানছেন, ‘‘আগে ভালভাবে খোঁজ নিচ্ছি, তবেই যাচ্ছি। বিজেপির কেউ থাকলে যাচ্ছি না সেই অনুষ্ঠানে।’’ গড়বেতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফারুখ মহম্মদের বক্তব্য, ‘‘দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে দলের নীতি, আদর্শ, নির্দেশিকা মেনে চলাই বাঞ্ছনীয়। আমি তো বরাবর কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়োজক ও স্থানীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তবেই যাই।’’ বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীকে কয়েকমাস আগে গড়বেতার এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ একই মঞ্চে দেখা যায়। তখন অবশ্য নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফলে, শো-কজের মুখে পড়তে হয়নি গড়বেতার বিধায়ককে। আশিসের গলাতেও অবশ্য এখন ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, ‘‘তখন পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। এখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের অল আউট আক্রমণ। তাই এখন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে বসা একেবারেই কাম্য নয়।’’ তৃণমূলের জেলা

সভাপতি অজিত মাইতিরও বক্তব্য, ‘‘দলের নির্দেশ সবাইকে মানার কথা বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement