অভিষেকের বার্তা, ‘দিদিকে বলো’য় তবু কোন্দল জ্বালা

এ বার লোকসভা নির্বাচনে কোলাঘাট ব্লকে দলের ফল বেশ খারাপ হওয়ার জন্য দলের একাংশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধনে তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র

শাসক দলে গোষ্ঠীকোন্দল বিভিন্ন ঘটনায় বার বার সামনে এসেছে। জেলায় তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি মদন মোহন মিশ্র ও জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের দ্বন্দ্বও দীর্ঘদিনের। এ বার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও তার প্রভাব পড়ল। অথচ দ্বন্দ্ব ঘোচাতে গত ৩ অগস্ট কলকাতায় জেলার যুব নেতাদের সঙ্গে এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ ফল হয়নি তা দেখা গেল বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধনে।

Advertisement

এ বার লোকসভা নির্বাচনে কোলাঘাট ব্লকে দলের ফল বেশ খারাপ হওয়ার জন্য দলের একাংশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, কোলাঘাটে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে রাজকুমারকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন অভিষেক। বলা হয়েছিল, যুব তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি উদ্বোধনের দিন দলের সমস্ত নেতাকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। পাশাপাশি কর্মসূচিতে মূল স্রোতের নেতাদেরও রাখতে হবে। ঘোচাতে হবে নেতাদের পারস্পরিক দূরত্ব।

রাজ্য নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধন হবে ৫ অগস্ট। রাজকুমারের দাবি, দলের নির্দেশ পেয়ে আমন্ত্রণ পত্র হাতে তিনি প্রথমেই যান মদন মোহন মিশ্রর বাড়ি। তাঁকে আমন্ত্রণ পত্র দিয়ে ওই কর্মসূচিতে থাকার আমন্ত্রণ জানান তিনি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ব্লকের সব নেতাদের। কিন্তু এদিন কোলাঘাটে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনায় অসিতবাবু ও তাঁর অনুগামীরা হাজির থাকলেও গরহাজির থাকলেন মদনবাবু। ফলে দলের নেতাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ঘোচানোর যে কথা বলা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।

Advertisement

এ বিষয়ে রাজকুমার বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম মদনদা আসবেন। এতদিনের দূরত্ব ঘুচবে। কেন এলেন না বুঝতে পারছি না।’’ এদিন মঞ্চে দেখা যায়নি মদনের অনুগামী হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পনিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরীকেও। এ প্রসঙ্গে অসিত বলেন, ‘‘দলের নেতৃত্ব সবই দেখছে। যাঁরা দলে থেকে দলের কর্মসূচিতে আসছেন না তাঁদের বিষয়ে দলই চিন্তাভাবনা করবে।’’ যদিও কর্মসূচীতে গরহাজিরা নিয়ে মদনের দাবি, ‘‘এটা যার যার ব্যক্তিগত কর্মসূচি। আমার একটি কর্মসূচি ছিল তাই যাইনি। আমি না থাকলে কি কোনও কর্মসূচি হবে না?’’

এদিনের কর্মসূচিতে রাজকুমার কুণ্ডু, দেবকুমার বন্দ্যোপাধ্যা-সহ উপস্থিত ছিলেন কোলাঘাট ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত সদস্য-সহ দু’শো নেতা-কর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement