তৃণমূল নেতার ছেলেকে গাছে বেঁধে মার। — নিজস্ব চিত্র।
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগ তুলে টাকা ফেরতের দাবিতে ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী এবং পুত্রকে গাছে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শিবশঙ্কর নায়েক এলাকার অনেকের থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। তিনি ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের কোটবাড় গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে শিবশঙ্করের খোঁজে তাঁর বাড়িতে যান এক দল চাকরিপ্রার্থী। তঁরা টাকা ফেরতের দাবি করেন। কিন্তু শিবশঙ্করের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা ওই তৃণমূল নেতার ছেলে এবং স্ত্রীকে মারধর করেন। ছেলেকে গাছেও বেঁধে রাখা হয়। শিবশঙ্করের স্ত্রী মলিনা নায়েক বর্তমানে ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিবশঙ্করের বাড়ির জানালার কাচও ভাঙচুর করে ক্ষিপ্ত জনতা।
দীপক মাইতি নামে এক যুবকের অভিযোগ, ‘‘ভাইকে গ্রুপ ডি পদে চাকরি করে দেওয়ার জন্য আমাদের থেকে আট লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন শিবশঙ্কর নায়েক। এর পর ২০১৭ সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় উনি চাপে পড়ে দুই লক্ষ ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি ছয় লক্ষ টাকা এখনও পাইনি। এর পর উনি আমাকে ঘুরিয়ে যাচ্ছেন। ওঁকে ফোন করলে খুনের হুমকি দেন। বাড়িতে এলে কুকুর লেলিয়ে দেন।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, ‘‘চাকরির টোপ দিয়ে কেউ টাকা তুললে সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তা ছাড়া যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দীর্ঘ দিন দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। তার পরও যে ভাবে অভিযোগ উঠেছে তাতে, প্রাক্তন ওই বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষকে দল থেকে পাকাপাকি ভাবে বহিষ্কার করা নিয়ে আমরা দলীয় স্তরে আলোচনা চালাচ্ছি। যদি কারও অভিযোগ থাকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে, তাহলে আপনারা আইনের পথে হাঁটুন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংযোগ নেই।’’