ফাইল চিত্র।
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন পাঁচ জন। ধৃতেরা সকলেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা। রবিবার তাঁদের কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কাঁথি আদালতে ঢোকার মুখে কালোবরণ দাস নামে এক ধৃত সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমরা টাকা দিয়েছি। সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে আজ আমাদের জেল খাটতে হচ্ছে। অথচ যিনি টাকা নিলেন, তিনি মাথা তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সকলের কাছে আবেদন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাস্তি দেওয়া হোক। আর আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।’’
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের কোটবাড় গ্রামে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শিবশঙ্কর নায়েকের বাড়িতে টাকা ফেরতে চাইতে এসে হামলা চালিয়েছিলেন ‘প্রতারিত’ চাকরিপ্রার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার অনেকের থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন শিবশঙ্কর। শনিবার সকালে শিবশঙ্করের খোঁজে তাঁর বাড়িতে যান এক দল চাকরিপ্রার্থী। তঁরা টাকা ফেরতের দাবি করেন। কিন্তু শিবশঙ্করের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা ওই তৃণমূল নেতার ছেলে এবং স্ত্রীকে মারধর করেন। ছেলেকে গাছেও বেঁধে রাখা হয়। শিবশঙ্করের স্ত্রী মলিনা নায়েক বর্তমানে ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিবশঙ্করের বাড়ির জানালার কাচও ভাঙচুর করে ক্ষিপ্ত জনতা।
ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়েই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। কালোবরণ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন অসীম গোল, দীপক মাইতি, সৌমিত্র দাস ও মোহিত কুমার বেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার ওপর হামলা, শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পেয়েই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।