কালীপুজোতেও জনসংযোগ নেতাদের

কোথাও কম্বল বিলি তো কোথাও ত্রিপল বিতরণ। দুর্গাপুজোর পরে এ বার কালীপুজোকে কেন্দ্র করে সামাজিক দায়িত্ব পালনের ধুম পড়েছে খড়্গপুর মহকুমায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩২
Share:

কোথাও কম্বল বিলি তো কোথাও ত্রিপল বিতরণ। দুর্গাপুজোর পরে এ বার কালীপুজোকে কেন্দ্র করে সামাজিক দায়িত্ব পালনের ধুম পড়েছে খড়্গপুর মহকুমায়।

Advertisement

শহর থেকে গ্রাম, বেশির ভাগ পুজো কমিটির মাথায় রয়েছে তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা। এমনকী থানার পুজোতেও কর্তা শাসকদলের বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরাই। জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, পুজো কেন্দ্রিক সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক জনসংযোগই মজবুত করছেন ওই নেতারা।

খড়্গপুরের ঝাপেটাপুর মোড়ে ‘টোয়েন্টি সেভেন্থ ইউথ সেন্টারে’র কালীপুজোর থিম এ বার ‘বঙ্গ মা’। এই পুজোর প্রধান উপদেষ্টা প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে। এই পুজোর কর্তারা শতাধিক মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করছেন। রবিশঙ্করবাবু বলেন, “প্রতিবারের মতো এ বারও পুজোর পরে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে।” পুরাতনবাজার শীতলা মন্দিরের ৭১ বছরের কালীপুজোয় আবার একশোজন দুঃস্থকে কম্বল বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই পুজো কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তুষার চৌধুরী। বড়বাতি কালীমন্দির পুজো কমিটিও পাঁচশোন দুঃস্থকে কম্বল বিলি করেছে। আজ, রবিবার এই অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষেরও থাকার কথা। পুজো কমিটির সম্পাদক তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনিও মানছেন, “সেবা করলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে।” বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের উদ্যোগেও সামাজিক কর্মসূচি হচ্ছে।

Advertisement

গ্রামীণ এলাকাতেও কালীপুজোর রাশ তৃণমূল নেতাদের হাতে। মহকুমার অধিকাংশ থানা চত্বরে পুজোর সভাপতি বা উপদেষ্টা হলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। যেমন দাঁতন থানার পুজোর সভাপতি স্থানীয় বিধায়ক বিক্রম প্রধান। এই পুজোতেও ১ নভেম্বর দুঃস্থদের বস্ত্র বিলি হবে। ডেবরা থানা চত্বরে থাকা কালীমন্দিরের পুজোর সভানেত্রীও স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুন। সবং থানার কালীমন্দিরের গ্রাম রক্ষী বাহিনীর পুজোর সভাপতি আবার তৃণমূলের জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। এই পুজোতেও ৩১ অক্টোবর দেড়শো দুঃস্থকে বস্ত্র বিলি হবে। সেই সঙ্গে আজ, রবিবার থাকছে পংক্তি ভোজনের আয়োজন। জনসংযোগই কি এ সবের লক্ষ্য? অমূল্যবাবুর জবাব, “এ কথা অস্বীকার করে লাভ নেই পুজো ঘিরে সামাজিক কাজের পিছনে জন সংযোগের একটা কৌশল থাকেই।” বেলদার সোশ্যালিজম ফোরামের পুজোর সভাপতি জেলা কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্টও মানছেন, “এই সব সামাজিক কাজের পিছনে জনসংযোগ বৃদ্ধির একটা উদ্দেশ্য থাকেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement