নন্দীগ্রামে জনসংযোগ যাত্রায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৩টে নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে জনসংযোগ করলেন অভিষেক। রাত ১০টা নাগাদ নন্দীগ্রাম টাউনে পৌঁছে যান অভিষেক। তার আগে একাধিক টুইটে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জেলায় মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছেন অভিষেক। জনতার দুয়ারে গিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়া, সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনছেন। বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহর কাঁথিতে পদযাত্রা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়ে তাঁর পূর্ব মেদিনীপুর সফর শেষ করবেন অভিষেক। চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার হাঁটার পর সভা করতে পারেন তিনি। রাতে নন্দীগ্রামেই থাকবেন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ভরকেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী করে তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দুকে। শেষ পর্যন্ত ওই লড়াইয়ে জয়ী হন শুভেন্দু। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামে অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রার আলাদা রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে। এর মধ্যে শুভেন্দুও কয়েক দিন পর নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম শুধু আমার এলাকা নয়। আমি সেখানকার জনপ্রতিনিধি মাত্র। আর স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও রাজনৈতিক দল যে কোনও জায়গায় কর্মসূচি করতে পারে।’’
অন্য দিকে, অভিষেকের যাত্রার আগেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। রাস্তার দু’ধারে অভিষেকের ছবি সম্বলিত তৃণমূলের হোর্ডিং এবং ব্যানারে ঢেকে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বেশ কিছু হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলেছে বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই রাতের অন্ধকারে এই কাজ করছে তারা।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে যাত্রা শুরুর আগে মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে টুইট করেন অভিষেক। একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপি সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে ক্ষতি করেছে, আমি নিশ্চিত যে সারা ভারতের মানুষ তা উপলব্ধি করেছে। এ বছরের শেষের দিকে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, বিজেপি পাঁচ রাজ্যেই হারবে। বিজেপির অপশাসনের অবসান শুরু।’’