বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
শাসকদল তৃণমূলের শক্তঘাঁটি তথা ‘অধিকারী গড়ে’ সোমবারই ‘হুমকি’ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পুজোর পরেই ‘অপারেশন শুরু’র কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না। তার আগে এ দিনই কার্যত ‘অপারেশন শুরু’ হল। তবে বিজেপির নয়, তৃণমূলের। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ দিন বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।
এ দিন রামনগর-১ ব্লকের মীরগোদায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির জনসভা ছিল। সেখানে তিনি শাসকদলকে কার্যত হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘এলাকায় যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁদের নামের তালিকা লিখে রাখুন। কত বড় মস্তান দেখে নেব। পুজোর পরেই অপারেশন শুরু করা হবে। বাড়ি থেকে বেরোবে নিজের ইচ্ছায় আর বাড়ি ফিরবে আমাদের ইচ্ছায়। বাড়ি থেকে যাবে হেঁটে। আর বাড়ি ফিরবে খাটিয়ায় শুয়ে।’’
এ দিন সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শেখ সিকান্দর, শেখ মহিবুব-সহ দক্ষিণ বাধিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময়ই তাঁদের কয়েকজন তৃণমূল কর্মী মারধর করেন। সভা শেষ হলে তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছয়। দিলীপের কনভয় রামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হতেই নবাগত বিজেপি কর্মী শেখ মহিবুবের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় অভিযোগ। অভিযোগের তির শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি) অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিন আমাদের দলে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। রাজ্য সভাপতির আরও একাধিক কর্মসূচি থাকায় তাঁদের এলাকায় আমরা এখনও যেতে পারিনি। তবে ব্লক নেতৃত্বকে বিষয়টি দেখার কথা বলেছি।’’ যদিও থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শাসকদলের বিরুদ্ধে মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই সার বলেন, ‘‘অযথা অপপ্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’’