তৃণমূল-বিজেপি সংগর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর, চন্দ্রকোনা। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের দামামা বাজতে না বাজতেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এবং চন্দ্রকোনা এলাকায়। শনিবার রাত্রে ২ জায়গায় ৩টি ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপির একাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার রাতে কেশপুর ১ নম্বর ব্লকের শ্যামচাঁদপুর এবং দাঁতল এলাকায় বিজেপির অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের বাইক বাহিনী হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিজেপির নেতারা অভিযোগ করেছেন। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্যামচাঁদপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন শাসক দলের নেতারা। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ। বিজেপি সমর্থকদের কয়েক জনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। ঘটনার জেরে রবিরার সকালেও উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
চন্দ্রকোনাতেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে সংঘর্ষে অন্তত ৩ জন বিজেপির এবং ১ জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার রাতে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির ছিল চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের কামারগাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে ৫ বিজেপি কর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় ২টি বাইক। সেখান থেকে আহত অবস্থায় ৩ বিজেপি কর্মীকে রাতেই ভর্তি করা হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে এঁদের মধ্যে ১ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চন্দ্রকোনাতে আরও একটি হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, সেখানে শনিবার রাত্রে তৃণমূল কর্মী সুকুমার ঘোষ বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।