খড়্গপুরের তালবাগিচায় আলো। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও টুনি বাল্ব, আবার কোথাও এলইডি-র ঝলকানি। শহর মেদিনীপুরে আলোর উৎসবের সাজ সারা। থিম আর সাবেকিয়ানার মিশেলেই সেজে উঠেছে সদর শহর।
বুধবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কালীপুজোর উদ্বোধন। শুক্রবার শহরে কয়েকটি বারোয়ারি কালীপুজোর উদ্বোধন হয়। আজ, শনিবার বেশিরভাগ সর্বজনীন কালীপুজোর উদ্বোধন রয়েছে। মেদিনীপুরে বড় বাজেটের পুজো কম হয়। বাজেট কম হলেও থিমের জাদুতে একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া পুজো কমিটিগুলি।
এ বার শহরের নিমতলাচকের বর্ডার ক্লাবের পুজোয় থিম কেদারনাথ! মণ্ডপ তৈরি হয়েছে কেদারনাথের শিবমূর্তির আদলে। পুজো উদ্যোক্তা গৌতম কন্ডাল, লেঠু বেহারা বলেন, “প্রতি বছরই আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এখন পুজোয় থিমই সব। দর্শকেরা নতুন কিছু দেখতে চান।”
বটতলাচকের একটি পুজোয় থাকছে নারীশক্তির জয়গান। শহরের এলআইসি মোড়ের সুচেতনার পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। এ বারও থাকছে ধুনুচি নাচের আয়োজন। বল্লভপুর তালপুকুর লেনের ইন্ডিয়ান ক্লাবের পুজোর প্রতিমায় থাকছে চমক। প্রতিমা তৈরি হয়েছে প্লাস্টিকের নানা সরঞ্জাম দিয়ে। পুজো উদ্যোক্তা তারক পাইন বলেন, “প্লাস্টিক কমবেশি প্রত্যেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু প্লাস্টিক দূষণের বিপদ অনেক। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই থিম।”
মানিকপুরের ভ্রাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের প্রতিমা প্রতি বছরই গরুর গাড়ির উপর তৈরি হয়। এ বারও তাই হয়েছে। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। উদ্যোক্তা সুদীপ রুইদাস বলেন, “আশা করি, সকলের ভাল লাগবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকছে।’’ বার্জটাউনের আলটিয়াস ক্লাবের পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে এক মন্দিরের আদলে। পুজো উদ্যোক্তা সুকুমার ভুঁইয়া বলেন, “পুজোর ক’দিন পুরো এলাকা জুড়ে অন্য এক আবহ তৈরি হয়। এটাই ভাল লাগে।