প্রতীকী ছবি
যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে বদল ঘটেছে আগেই। এ বার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে ৪০ বছরের কমবয়সীদের সংগঠনে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল।
যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ৪০ বছরের বেশি বয়সী কাউকে যুব সংগঠনের দায়িত্বে রাখা হবে না। এর প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের জেলাতেও যুব সংগঠনে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটানা কয়েক বছর ধরে যুব সংগঠনের ব্লক এবং শহর সভাপতির দায়িত্ব সামলানো অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের দলীয় দলীয় সূত্রে খবর, এই সব এলাকার মধ্যে রয়েছে— রামনগর-১, ২ কাঁথি-১, খেজুরি-১, ২, মহিষাদল, সুতাহাটা, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক এবং হলদিয়া, পাঁশকুড়া ও কাঁথি শহর। এই সব জায়গায় নতুনদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জেলা যুব তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
তৃণমূলের সাম্প্রতিক রদবদলের সময়ই ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলইকে যুব সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্য নেতৃত্ব। নতুন জেলা যুব সভাপতি হন পার্থ মাইতি। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরে সংগঠনের ২৫টি ব্লক এবং ৫টি পুরসভার কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। নতুন কমিটিতে ফের পুরনো দায়িত্বপ্রাপ্তেরাই ঠাঁই পাবেন বলে আশা ছিল। কিন্তু বয়সসীমা বেঁধে সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন যুব রাজ্য সভাপতি অভিষেক।
ইতিমধ্যে নতুন জেলা যুব সভাপতি পার্থ সাংগঠনিক খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যুব তৃণমূল সূত্রে খবর, ব্লক এবং শহর পিছু নির্দিষ্ট বয়সসীমার নেতাদের দু’টি করে নাম চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতিদের কাছেই ওই নাম চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা যুব সভাপতিকে। সংগঠনের ব্লক ও শহর সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করবে তৃণমূলের সাত সদস্যের শীর্ষ কমিটি।
এ প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ বলেন, ‘‘দলের ব্লক সভাপতিদের ২৫-৪০ বছরের মধ্যে দক্ষ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন দু’টি করে নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তারপর ওই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেব। তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
বয়স সীমার কোপে যুব সংগঠন থেকে ‘দাপুটে’ অনেকেই বাদ পড়বেন বলে শাসকদলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে।