ফাইল চিত্র।
লক্ষ্য ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বুথস্তরে সংগঠনের ভিত আরও শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। দলের জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে বলতে শোনা গেল, ‘‘দলের কর্মসূচিগুলি পালনে বুথস্তরে কোনও ঘাটতি যেন না থাকে।’’ আজ, সোমবার থেকে টানা কর্মসূচি রয়েছে।
রবিবার বিকেলে মেদিনীপুরে প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক হয়েছে। গত শুক্রবার দলের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার তিন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছিলেন। ওই দিনই দলের কয়েকটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী। ওই বৈঠকের পরই তড়িঘড়ি জেলার বর্ধিত বৈঠকের ডাক দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
বৈঠকে অজিত জানিয়ে দেন, দলের কর্মসূচিগুলি বুথস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে আপনারা (দলের কর্মীরা) যে যেখানে যে ভাবে পেরেছেন লড়াই করেছেন। এত ঝুঁকি নিয়ে লড়াই আর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা করেননি। এ বার দলের প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলিও ভালভাবে পালন করতে হবে।’’ সামাজিক মাধ্যমে কর্মসূচির প্রচার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠক থেকে স্পষ্ট, তৃণমূল চাইছে বুথস্তরে দলীয় সংগঠনের ভিত শক্ত করতে, যাতে একুশের ভোটে বিজেপি দাঁত ফোটাতে না পারে। উনিশের লোকসভা ভোটে যে সব বুথে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেখানে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অজিত বলেন, ‘‘সোমবার থেকে আমারা ছেলেরা পথে নামছে। কিন্তু আমরা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে যাব না। স্রেফ প্রতিবাদ, প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ হবে।’’ ২১ জুলাই জেলার প্রত্যেকটি বুথেই মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সভার সম্প্রচার হবে। অজিত বলেন, ‘’২১ জুলাই প্রত্যেকটা বুথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানো হবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’’
ভোটের আগে দলকে আন্দোলনমুখী করতে চান নেত্রী। বুথে নজর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই। অজিতের মুখেও তাই শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা।