নিজস্ব চিত্র
দোকানের জন্য কিনেছিলেন লটারির টিকিট। সেই টিকিটেই খুলে গেল পিংলার টুঙ্গু গ্রামের চা বিক্রেতা নাথু রানার ভাগ্য। বুধবার ওই টিকিটে খেলা হতেই নাথু জানতে পারেন এক কোটি জিতে নিয়েছেন তিনি।
ময়না মুন্ডুমারি রাজ্য সড়কের ধারে হাজরাবাগান এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালান নাথু ও তাঁর স্ত্রী কমলা রানা। সেই সঙ্গে গত চার বছর ধরে লটারির টিকিটও বিক্রি করেন তাঁরা। কিন্তু তা থেকে সামান্যই উপার্জন হত। মেরেকেটে দিনে ১০০-২০০ টাকা। তা দিয়ে সংসার চালানো ও দোকান ঘর ভাড়া খরচ জোগানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরিবার-সহ থাকার জায়গাও নেই বিশেষ। এ বার পুরস্কারের ওই এক কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি তো কিনবেনই, একটি দোকানঘরও কেনার কথা ভাবছেন নাথু।
তিনি জানান, খেলায় যে টিকিটে পুরস্কার উঠেছে, তা আসলে ‘অবিক্রিত’ ছিল। যে ডিলারের থেকে টিকিট কিনে এসেছিলেন, তাঁকে জানিয়েও ছিলেন যে কয়েকটি টিকিট বিক্রি হয়নি। কিন্তু তত ক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে খেলা। অর্থাৎ, ওই ‘অবিক্রিত’ টিকিটের দামও তাঁকে দিতে হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মাঝেই নাথু খবর পান, লেগে গিয়েছে তাঁর টিকিট। তাঁর কথায়, ‘‘দোকান করেও সংসার চালাতে পারছিলাম না। স্ত্রী অসুস্থ। ওঁকে দেখব না কি দোকান চালাব! বিশ্বাসই হচ্ছে না এক কোটি টাকা পুরস্কার পাব আমি।’’
স্ত্রী কমলা বলেন, ‘‘খুব কষ্ট করে চালাতে হচ্ছিল দোকানটা। কিছু টাকা সঞ্চয় করে লটারি টিকিট বিক্রি শুরু করেছিলাম। আমি চায়ের দোকান চালাই আর স্বামী টিকিট বিক্রি করে। ঠাকুরকে দিন রাত ডাকতাম। তাই একটি মন্দিরও করব। ভাড়া দোকান ছেড়ে নিজেদের একটা দোকান করার পরিকল্পনা আছে।’’