নিয়োগ আট এসআই

যানশাসনে জেলায় নয়া পদক্ষেপ

জাতীয় ও রাজ্য সড়কে গাড়ি পরীক্ষায় রাশ টানতে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, একজন সাব-ইনস্পেক্টর মর্যাদার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গাড়ি পরীক্ষা করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০২
Share:

যান নিয়ন্ত্রণে নয়া উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের। —নিজস্ব চিত্র

রাজ্য ও জাতীয় সড়কে গাড়ি পরীক্ষার নামে ব্যাপক হারে জরিমানা আদায় ও মামলা দায়ের করা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ২১ আগস্ট দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি প্রসঙ্গ তুলে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এত বেশি মামলা করা হচ্ছে কেন। সারা সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তায় নামিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। যে অন্যায় করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু তার মানেই ‘কেস’ দেওয়া নয়। অ্যাকশন মানেই টাকা নয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন ক্ষোভ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ।

জাতীয় ও রাজ্য সড়কে গাড়ি পরীক্ষায় রাশ টানতে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, একজন সাব-ইনস্পেক্টর মর্যাদার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গাড়ি পরীক্ষা করতে হবে। অভিযোগ, আগে গাড়ি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় তা মানা হত না। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর গাড়ি পরীক্ষায় পুলিশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর, কলকাতা- মুম্বই ৬ নম্বর ও নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়ক-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক সংলগ্ন থানা এলাকাগুলিকে নিয়ে ‘ট্র্যাফিক উইং’ তৈরি করা রয়েছে। প্রতিটি ট্র্যাফিক উইংয়ে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) পদ মর্যাদার পুলিশ আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকজন কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত রয়েছেন। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নথিপত্র পরীক্ষা করে অনিয়ম পেলে জরিমানা করা এবং চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকলে গ্রেফতার করার ক্ষমতা ওই পদ মর্যাদার আধিকারিকের নেই। তাই সড়কে গাড়ি পরীক্ষা থেকে চালক যান-নিয়ম ভাঙলে গ্রেফতারে সমস্যা হত। এই সমস্যা দূর করতে জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত মোট ৮ জন সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) পদ মর্যাদার আধিকারিককে বিভিন্ন ট্র্যাফিক উইংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন।

Advertisement

জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সড়কে গাড়ির নথিপত্র পরীক্ষা থেকে চালকদের বিরুদ্ধে সমস্ত নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলার ট্র্যাফিক পুলিশ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক (আপগ্রেডেশন) করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

যদিও গাড়িচালক থেকে সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি পরীক্ষা ও যান নিয়ম ভাঙলে চালকদের ধরতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সড়কের ধারে যে ভাবে দখলদারদের উৎপাত বাড়ছে, এমনকী যার জন্য দুর্ঘটনাও ঘটছে সে সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ-প্রশাসনের আগ্রহ দেখা যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement