কর্মী নিয়োগেও ‘কাটমানি’র নালিশ, বিক্ষোভ বিজেপির

বিজেপির অভিযোগ, ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে। তমলুক শহরের বানপুকুরের তীরে অবস্থিত ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে এদিন দুপুরে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সাধারণসভা ছিল। সভা শুরুর পরেই বিজেপি কর্মীরা ব্যাঙ্কের অফিসের প্রবেশ পথের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

তমলুক শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিতরে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির বৈঠক। বাইরে স্লোগান দিয়ে কাটমানির অভিযোগে সরব বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। রবিবার এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায়।

Advertisement

কিন্তু ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাটমানির অভিযোগের সম্পর্ক কী?

তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ওই সমিতির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন নন্দীগ্রাম- ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল। বিজেপির অভিযোগ, ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে। তমলুক শহরের বানপুকুরের তীরে অবস্থিত ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে এদিন দুপুরে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সাধারণসভা ছিল। সভা শুরুর পরেই বিজেপি কর্মীরা ব্যাঙ্কের অফিসের প্রবেশ পথের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পোস্টার দিয়ে চলে স্লোগান। এরফলে ব্যাঙ্কের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী সেখানে যায়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া বিজেপি’র তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি মধুসূদন প্রামাণিকের অভিযোগ, ‘‘সমবায় ব্যাঙ্কের ১৫ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কর্মী নিয়োগের আগে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আমরা তার অপসারণ চাইছি।’’

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ ও বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মেঘনাদ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের ১০ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রক্রিয়া চলছে। কোনও অনিয়ম হলে সমবায় দফতর ও প্রশাসনে অভিযোগ জানাতে পারে। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিজেপি কর্মীরা এদিন ব্যাঙ্কের ভিতরে পোস্টার দিয়ে ও সামনে জমায়েত করে সাধারণসভা বানচাল করতে চেষ্টা করে। তবে সাধারণ সভা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।’’

সম্প্রতি তমলুক পুরসভায় ৯ জন স্থায়ী কর্মীর নিয়োগে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনেদেনের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। পুরসভায় বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি, কংগ্রেস, বাম কর্মী সংগঠনের কর্মীরা। এমনকী পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পিছু হঠলেও প্রথমে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মী সংগঠন। এর ফলে কয়েকদিন ধরে পুরসভার কাজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এ নিয়ে পুরসভা অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভা করে বিজেপি। এরপর তমলুক- ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মী নিয়োগে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সমবায় সেলের জেলা সভাপতি গোপাল মাইতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তমলুক শহরে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। ওই ব্যাঙ্কের মধ্যে পোষ্টার দিয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে গোপাল মাইতির অপসারণের দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতেই তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগে কাটমানির অভিযোগ উঠল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement