দিঘায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
ক্ষতপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত মাসেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগেই সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনে।
গত নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন কাঁথি-৩ ব্লকের দুই মৎস্যজীবী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে রওনা হওয়া একটি ট্রলারে ছিলেন শিল্লিবাড়ির চন্দন দাস এবং জগুদাসবাড়ের বাসিন্দা শম্ভু দাস। প্রায় একমাস কেটে গেলেও ওই দুই মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি। দুই মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দাদের ত্রাণ দিয়ে সাহায্যেরও নির্দেশ রয়েছে।
আগামী ১১ এবং ১২ ডিসেম্বর দিঘায় শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে জেলা সফরে আসছেন মমতা। তার আগেই নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ছ’হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার জন্য জোর তোড়জোড় জেলা প্রশাসনে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মৎস্যজীবী পরিবারের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সোমবারই দু’লক্ষ টাকা করে জমা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, অন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার জন্য আগে জেলায় প্রায় তিন হাজার ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট) বণ্টন করা হয়েছিল। রবিবার নতুন করে আরও প্রায় পাঁচ হাজার ৯০০টি ‘ডিএম কিট’ জেলায় এসেছে। রবিবার রাতে ১০টি ট্রাক বোঝাই করে ওই সব কিটগুলি তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসে আনা হয়।
সোমবার সকাল থেকে কাঁথি, এগরা, তমলুক মহকুমার বিভিন্ন ব্লক এবং নন্দীগ্রাম- ১ এবং ২ ব্লকে ওই ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কিটে রয়েছে, হাঁড়ি, কড়াই, থালা, গামলা, জগ প্রভৃতি গৃহস্থালি সামগ্রী।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার সোমবার বলেন, ‘‘বুলবুলের সময় মাছ ধরতে গিয়ে কাঁথির দুই মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকার দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। ওই টাকা সোমবারই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাহায্যের জন্য জেলায় ৫ হাজার ৯০০টি ডিএম কিট। আগামী দুদিনের ওই কিট বিলি করা হবে।’’