পর্যটকদের জন্য নব কলেবরে তাজপুর

গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘায় সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। যে কারণে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে রয়েছে। কিন্তু দিঘার কাছেপিঠেই কয়েক বছর আগে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে তাজপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তাজপুর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২৩
Share:

এভাবেই সেজে উঠছে তাজপুরের সৈকত। নিজস্ব চিত্র

সৈকত শহর দিঘার আদলে সেজে উঠছে আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র তাজপুর। সমুদ্র সৈকত বরাবর সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকাঠামোগত একগুচ্ছ নির্মাণসামগ্রী তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। এর জন্য আনুমানিক আট কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘায় সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। যে কারণে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে রয়েছে। কিন্তু দিঘার কাছেপিঠেই কয়েক বছর আগে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে তাজপুর। ইদানীং সেখানে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু দিঘার মতো সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকাঠামো কিছুই সেখানে গড়ে ওঠেনি বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল পর্যটকদের। এ বার সেই অভাব মিটতে চলেছে। কেননা তাজপুর সৈকতে বিশ্ববাংলা উদ্যান, নানা রকম সুদৃশ্য মূর্তি, বিনোদনমূলক পার্ক-এর মতো একগুচ্ছ সৌন্দর্যায়নমূলক প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং জোন এবং শৌচাগার, এলইডি পথবাতির মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। পরিকাঠামো এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ অনেকটাই শেষ পর্যায়ে।

দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) সূত্রে খবর, দিঘার মতো মন্দারমণিকে আগেই সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। তারপর শঙ্করপুর এবং তাজপুরকে একই রকম সাজিয়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাজপুরে পরিকাঠামোর উন্নতি এবং সৌন্দর্যায়নে বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। পুরো ব্যয়ভারই রাজ্যের পর্যটন দফতর বহন করছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী ডিসেম্বর থেকে পর্যটনের মরসুম শুরু হচ্ছে। তার আগে তাজপুরের সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছে ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। ডিএসডিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুজন কুমার দত্ত বলেন, ‘‘সৈকতের সবকটি পর্যটনকেন্দ্রকে আমরা আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছি। তাজপুরে পরিকাঠামো এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষ। শীতের শুরুতে পর্যটকরা যাতে সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement