সাত হাজার জমায়েত চান শুভেন্দু

রবিবার সন্ধ্যায় ফের খড়্গপুরে এসে শহরে দলের ৫০জন পর্যবেক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। কাল, মঙ্গলবার বোগদায় ডিআরএম অফিসের সামনে রেলের বিরুদ্ধে জমায়েত নিয়ে কথা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০০:৪০
Share:

রেলশহরে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

পাখির চোখ উপনির্বাচন।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় ফের খড়্গপুরে এসে শহরে দলের ৫০জন পর্যবেক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। কাল, মঙ্গলবার বোগদায় ডিআরএম অফিসের সামনে রেলের বিরুদ্ধে জমায়েত নিয়ে কথা হয়। ওয়ার্ডে কেমন কাজ হচ্ছে, সেই খোঁজও নেন শুভেন্দু। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘শহরের ওয়ার্ড পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বসেছিলেন মন্ত্রী। ওয়ার্ডে তাঁরা কেমন কাজ করছেন তা নিয়ে পর্যালোচনার সঙ্গে ২৭ অগস্টের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করেছেন।’’

তৃণমূল সূত্রে খবর, কাল শহরে ৭ হাজার জমায়েতের নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু। প্রতি ওয়ার্ড থেকে দু’শো জনের মিছিল যাতে বোগদায় যায় পর্যবেক্ষকদের তা দেখতে বলেছেন। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খুলে দিয়েছেন। গ্রুপে রয়েছেন শুভেন্দুও। পরে রেলের বিরুদ্ধে বিজেপির সরব হওয়া নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি যদি রেলের বিরুদ্ধে সরব হয় সেটা তো দ্বিচারিতা। তেমন হলে ওঁরাও স্মারকলিপি দিক। রেলের অত্যাচারের মাত্রাটা যে জায়গায় গিয়েছে সেটা ২৭ অগস্ট বুমেরাং হবে। শুধু খড়্গপুর শহরের ৭ হাজার মানুষের জমায়েত হবে।’’

Advertisement

খড়্গপুর ভোট নজরে থাকলেও জঙ্গলমহলের গুরুত্ব কমছে না। রবিবার বিকেলে সাঁকরাইলে দলের ঝাড়গ্রাম জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে শুভেন্দু জানান, আপাতত তাঁর নিশানা খড়্গপুর। তবে ঝাড়গ্রামেও নিয়মিত আসবেন। বৈঠকে শুভেন্দুর বার্তা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করে বিজেপিকে ঠেকাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে। ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের উদ্যোগে ৫ সেপ্টেম্বর প্রবীণ শিক্ষক-সম্মাননা আয়োজনেরও নির্দেশ দেন। কোর কমিটির বৈঠকে ঝাড়গ্রামের গৌরাঙ্গ প্রধান ও বেলপাহাড়ির বিকাশ সিংহকে আইএনটিটিইউসি-র জেলা যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কোর কমিটির বৈঠকের আগে সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূলের কর্মী প্রশিক্ষণ শিবিরে শুভেন্দুর বার্তা, ‘‘লোকসভা ভোটে আপনারা দলটাকে এতটা নীচে নামিয়ে দিয়েছেন যে তা আমরা বুঝতে পারিনি। এখনও সময় আছে। কপালের উপর নির্ভর না করে কর্মের উপর জোর দিন।’’

পরে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি সাংসদকে বিঁধেছে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূলের হাতে রেল দফতর থাকলে লালগড়ের মানুষ এতদিনে ট্রেন চড়তেন। ঝাড়গ্রামের নতুন সাংসদ একটা নতুন ট্রেন তো দূর, ঝাড়গ্রামের জন্য একটা বগি জুড়তে পেরেছেন বলে আমার জানা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement