Suvendu Adhikari

মকরে নেতাইয়ে শুভেন্দু, সরব বালি ও আলু পাচার নিয়ে

এরপর আলু নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত আলু চাষিদের শেষ করে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০০
Share:

মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার লালগড়ের নেতাইয়ে। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের অনুমতি না মেলায় ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসে আসতে পারেননি। তবে মঙ্গলবার মকর-পরবের দিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে হাজির হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জনসংযোগের পাশাপাশি লালগড়ের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়— নদীর বালি পাচার ও আলু রফতানি বন্ধে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন তিনি।

Advertisement

শহিদ দিবসের পরে এসেছেন, তাই শহিদ বেদিতে ওঠেননি শুভেন্দু। তবে গাড়ি থেকে নেমে জুতো খুলে শহিদ বেদির উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতা সেরেছেন। সেখানে মাইক্রোফোন ছিল না।

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, অবৈধ ভাবে কংসাবতী থেকে যথেচ্ছ বালি তোলা হচ্ছে। বালির গাড়ি চলায় রাস্তার দফারফা। অপরিকল্পিত খননে নদীতে গহ্বর তৈরি হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে নদী। জঙ্গলমহলে প্রতি বছর নদীর চোরাগর্তে পড়েও প্রাণহানি ঘটছে। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘পাঁচটা ঘাট টেন্ডার হয়ে থাকলে ৫০টা ঘাট বেআইনি। প্রতি থানা থেকে মাসে ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা তোলা হয়।’’

Advertisement

এরপর আলু নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত আলু চাষিদের শেষ করে দিয়েছে। বর্ধমান আর হুগলির আলু কলকাতায় যায়। আর এই এলাকার আলু মূলত ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশায় যায়। আলুর গাড়িতে কপিও ভিন্ রাজ্যে যেত। আলু পরিবহণে সীমানা বন্ধ করায় এবার বাজারে ২ টাকা, ৩ টাকা দরে কপি গড়াগড়ি খাচ্ছে। চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, লালগড়ের আলু কলকাতায় যায় না। এদের এটা কে বোঝাবে!’’এ দিন বিকেল সাড়ে চারটেয় নেতাই পৌঁছন শুভেন্দু। ছিলেন আধ ঘণ্টা। বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নেতাই গ্রামের সঙ্গে আমার রাজনীতির সম্পর্ক নয়, আত্মিক সম্পর্ক। বিপদের দিনে ছিলাম। প্রতি বছর আসি। আজ মকরের দিন চলে এলাম। ব্যক্তিগত সফরে এসেছি।’’ ৭ জানুয়ারি তাঁকে নেতাইয়ে আসতে অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশের সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাকে তো সকাল সাতটাতেও আসার অনুমতি দেওয়া যেত। গণতন্ত্রে শাসক থাকলে বিরোধী থাকবে। কিন্তু পুলিশের কাজ তৃণমূলকে খুশি করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন, আমিও ২ কোটি ৩৩ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি।’’এ দিন নেতাই কাণ্ডে মৃতের পরিজন ও জখমদের হাতে আর্থিক সাহায্য ও শাল তুলে দেন শুভেন্দু। স্থানীয় মহিলাদের তৈরি পিঠে চেখে দেখেন বিরোধী দলনেতা। ছিলেন গত লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement