পরিবহণ মন্ত্রীর মানবিক মুখ। সাক্ষী থাকল তমলুক। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর কনভয় থামিয়ে উদ্ধার করেছেন দুর্ঘটনায় আহতকে। এ বার শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ৪১নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সাইকেলে করে নিমতৌড়ি থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন পূর্ণচন্দ্র প্রধান ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী প্রধান। নিমতৌড়ি বাজার এলাকায় একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঠিক সেই সময় জাতীয় সড়কে ওঠে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি। তিনি তখন নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে ভারত ছাড় আন্দোলনের স্মরণ অনুষ্ঠান সেরে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত দম্পতিকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছিলেন।
মন্ত্রীর কনভয় থেমে যায় ওই ঘটনা দেখে। নিরাপত্তারক্ষীদের একটি গাড়িতে জখম দম্পতিকে তুলে জেলা হাসপাতালের দিকে রওনা করে দেন শুভেন্দু। খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে আসেন নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা-সহ তমলুক শহরের তৃণমূল নেতারা। জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার দক্ষিণ নারিকেল গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্রবাবু ও তাঁর স্ত্রীর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।
শুভেন্দু এ দিন বলেছেন, ‘‘হলদিয়া-মেচেদা সড়কে ওঠার পরেই দেখতে পাই দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে। কিছু মানুষ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি থামানোর জন্য হাত দেখাচ্ছেন। কিন্তু কেউ দাঁড়ায়নি। মুমূর্ষু মানুষকে সাহায্য করা আমার কর্তব্য। সে টুকুই করেছি।’’
অন্য দিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি ওই দম্পতিকে ধাক্কা মেরেছিল, সেটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তল্লাশি চলছে।