West Bengal Panchayat Election 2023

জেলার জনমত কোন দিকে, শুভেন্দু ‘নীরবই’

৬৯৭টি বুথে এ দিন পুনর্নির্বাচন করা হয়েছে, তার মধ্যে শ'দুয়েক বুথে গণ-প্রতিরোধে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু বাকি বুথে ভোট করা হচ্ছে শাসকদলকে বাঁচাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৭
Share:

ভোট দিয়েছেন? আঙুলে ভোটের কালি দেখথেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে সোমবার দুপুরে। ছবি: শুভেন্দু কামিলা

গোটা রাজ্যের নজর এখন পঞ্চায়েত ভোটের ফলে। তবে সেই ফলপ্রকাশের আগের দিন নিজের বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে এসেও কোনও পূর্বাভাস করলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে কথা বললেন। পুনর্নির্বাচন নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করলেন। তবে সোমবার দুপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের জেলা বা গোটা রাজ্যে ভোটের ফল কী হতে চলেছে. এ নিয়ে রা কাড়লেন না শুভেন্দু।

Advertisement

বস্তুত, ভোটের দিনও নন্দীগ্রামে ছিলেন শুভেন্দু। এবং সে দিনই খানিক বেসুরো শুনিয়েছিল তাঁকে। বিজেপির দিল্লির নেতাদের প্রতি খানিক অনাস্থা যেন ফুটে বেরিয়েছিল। এ দিনও রাজ্যপালের ভূমিকা, তাঁর দিল্লি সফর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রথমে কিছুই বলতে চাননি শুভেন্দু। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "ওঁদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি বলতে পারব না। আমি লেস ইন্টারেস্টেড। আমি আউটকাম চাই, আউট কাম পাইনি। উনি (রাজ্যপাল) বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে গেছেন। লক্ষ লক্ষ অভিযোগ পেয়েছেন। তার নিষ্পত্তি হয়নি।আমার পার্টি পরিচিতি ছেড়ে দিন। শান্তিপ্রিয় ও গণতন্ত্র প্রিয় বাংলার মানুষ সাংবিধানিক অভিভাবকের থেকে কিছু রেজাল্ট আশা করেছিল। কিন্তু আমরা পাইনি।"

আজ নন্দীগ্রামে দু'টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। জেলায় ফের ভোট নেওয়া হয় মোট ৩১ট বুথে। শুভেন্দুর দাবি, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ময়নার বাকচা এলাকার কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচন কমিশন করাচ্ছে। তবে সেই ডজন খানেক বুথেও তাঁদের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকবেন এবং বাকচা থেকে জেলা পরিষদেও বিজেপি জিতবে বলে প্রত্যয়ী তিনি। তবে নন্দীগ্রাম বা গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কী হতে চলেছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দু।

Advertisement

তবে তাঁর দাবি, যে ৬৯৭টি বুথে এ দিন পুনর্নির্বাচন করা হয়েছে, তার মধ্যে শ'দুয়েক বুথে গণ-প্রতিরোধে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু বাকি বুথে ভোট করা হচ্ছে শাসকদলকে বাঁচাতে। বিরোধী দলনেতা বলেন, "আমরাই ৬ হাজার কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও আসনেই ভোট করানো হয়নি। যদিও অধীর চৌধুরী একটি চিঠি দিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন আর সিপিএম কোনও পুনর্নির্বাচনের দাবি করেনি।' তিনি আরও বলেন, " আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে ভোট লুটের ১ হাজার ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সে সব নিয়ে আগামী কাল আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।"

কিন্তু ভোটের ফল নিয়ে কেন চুপ শুভেন্দু?

বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পালের যুক্তি, "বিরোধী দলনেতা আগেই বলে দিয়েছেন যে নন্দীগ্রামে বিজেপি জিতছে। তাই এ দিন আর আলাদা করে কিছু বলেননি। এ দিন দলীয় কর্মীদের গণনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।" তবে ফলপ্রকাশের আগের দিনই তুমুল উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে। একাধিক বুথ সভাপতিকে নিয়ে সেখানে দলীয় বৈঠক করেছেন ব্লক নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী শেখ সামসুল ইসলামের দাবি, "শুভেন্দু অধিকারী বুঝে গিয়েছেন, ২০২১-এ লোডশেডিং করে জেতা সম্ভব হয়েছিল। ২০২৩-এ সেটা সম্ভব নয়। সে জন্যই নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে টুঁ শব্দও করেননি। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামবাসী বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement