গোপীবল্লভপুরে প্রচারের ফাঁকে শিশুকে আদল শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র
গত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেও বোর্ড গড়া হয়নি বিজেপির। তখন তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কেশিয়াড়ি পুনরুদ্ধারে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। শুভেন্দু এখন বিজেপি নেতা। ভোটের মুখে কেশিয়াড়িতে এসে তিনি জানালেন, "তৃণমূল গণতন্ত্র, সংবিধান মানে না। তাই করেনি (বোর্ড গড়তে দেয়নি)। এ বার জনগণ সুদে আসলে তুলে দেবে। চোরেদের কেউ ভোট দেবে না।"
বৃহস্পতিবার নয়াগ্রামের কর্মসূচি সেরে ঝটিকা সফরে কেশিয়াড়ি আসনে শুভেন্দু। যাওয়ার পথে কেশিয়াড়ি দক্ষিণ মণ্ডলের কার্যালয়ের সামনে শুভেন্দুকে আটকান বিজেপি কর্মীরা। তখনই বিজেপি নেতারা কেশিয়াড়ি নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চলে প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব। শুভেন্দু জিজ্ঞাসা করেন, "এবারে হবে তো?" প্রার্থীরা সম্মতি জানান। পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশাসন ও তৃণমূলের কারচুপির অভিযোগ করেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দু কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, "এ বার এ সব হবে না। গতবার আমি ছিলাম না তোমাদের সঙ্গে। একদম ঘিরে বসে থাকবে। আমি গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যাব।" বিজেপি কর্মীরাও শুভেন্দুকে জানান, সেই ভরসায় আছেন তাঁরা।
হুল দিবস পালনের জন্য পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলেও অভিযোগ। যা শুনে শুভেন্দু নিশানা করেন কেশিয়াড়ি থানার আইসিকে। বলেন,"সামাজিক অনুষ্ঠান কেন করতে দেবে না! উনি এখানকার মুখ্যমন্ত্রী নাকি! আমার হাতে সময় নেই। নয়তো তোমাদের নিয়ে থানায় গিয়ে আমি বারোটা বাজিয়ে দিতাম।" উল্লেখ্য, হলদিয়া থেকে বদলি হয়ে এসেছিলেন কেশিয়াড়ি থানার আইসি বিশ্বজিৎ হালদারকে। আর এতে শুভেন্দুর হাত ছিল বলেই তখন চর্চা হয়েছিল। কয়েকবার বদলির পরে তিনিই বর্তমানে কেশিয়াড়ির আইসি। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, হুল দিবস পালনে সব রাজনৈতিক দলকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ দিন কেশিয়াড়ির একটি লজে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেন শুভেন্দু। তবে আজ, শুক্রবার কেশিয়াড়িতে তাঁর কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। এ দিন বৈঠকে কী আলোচনা হল? বিজেপির কেশিয়াড়ি উত্তর মণ্ডলের সভাপতি সন্দীপ পাল বলেন," নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ভোটে কীভাবে আমরা লড়াই করব, তার কিছু পরামর্শ আমাদের দিয়েছেন।"