শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে নদী-খালের বাঁধ মেরামতি ও সংস্কার শুরু হয়েছিল জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় সেই সব কাজ থমকে গিয়েছে। অথচ মাসখানেক পরেই বর্ষা। তার আগেই জেলার নদীবাঁধ মেরামতি, নিকাশিখাল সংস্কার ও অকেজো স্লুইস গেট মেরামতির কীজ শেষ করতে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু ভিডিও কনফারেন্সে সেচ দফতরের সচিব সহ দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করে লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নদীবাঁধগুলির অবস্থা এবং বিভিন্ন জায়গায় দফতরের কাজের হাল-হকিকত নিয়ে আলোচনা করেন।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বন্যা প্রতিরোধে বর্ষার আগে রাজ্যের বিভিন্ন নদী ও খালের বাঁধের প্রয়োজনীয় মেরামতি, অকেজো স্লুইস গেটের সংস্কার ও মেরামতি এবং খালের জল নিকাশি অবরুদ্ধ করে রাখা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাবতীয় করোনা সতর্কতা বিধি মেনেই কাজ করা হবে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নায় কাঁসাই নদী সংস্কারে প্রায় ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা ছিল গত এপ্রিল মাসে। কিন্তু লকডাউনের জেরে তা শুরু হয়নি। একইভাবে পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই-বাকসী খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। কোলাঘাটের বৃন্দাবনচকে দূর্বাচটি নদীবাঁধ মেরামতির কাজ চলছিল। কিন্তু লকডাউনে তা বন্ধ রয়েছে। তবে তমলুক শহরের দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এবং মহিষাদলের দনিপুর এলাকায় রূপনারায়ণ নদের বাঁধের মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। একই ভাবে পাঁশকুড়ার সরাইঘাট, পশ্চিমকল্লা ও গড়পুরুষোত্তমপুর এলাকায় কাঁসাই নদীবাঁধের মেরামতির কাজও সম্পূর্ণ। মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ায় বেলতলার কাছে রূপনারায়ণ নদের বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির জন্য ‘স্কিম’ জমা দেওয়া রয়েছে।
জেলা সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বর্ষার আগে জেলার বিভিন্ন নদী ও খালবাঁধের মেরামতি, অকেজো স্লুইসগেট মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর নিকাশি খালের প্রবাহ আটকে রাখা কচুরিপানা ও আগাছা-সহ বিভিন্ন সামগ্রী সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, কাঁসাই নদী ও ক্ষীরাই-বাকসী খাল সংস্কারের কাজ বর্ষার পরে শুরু হবে। তবে কোলাঘাটের বৃন্দাবনচকে দূর্বাচটি নদীবাঁধের মেরামতির কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’