ছোট আঙারিয়ার মঞ্চে শুভেন্দু

ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের মঞ্চে প্রধান বক্তা হিসেবে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে। রাজ্যে পালাবদলের পরে এই প্রথম ছোট আঙারিয়া দিবসে (৪ জানুয়ারি) গড়বেতায় হাজির থাকলেন শুভেন্দু।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৮
Share:

মঞ্চে শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

নির্বাচনী প্রচার ছাড়া গত কয়েক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের কর্মসূচিতে সে ভাবে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। জেলায় যে আসতেন না তা নয়। তবে বেশিরভাগই মনীষী স্মরণ বা সমবায় সমিতির সভায় যোগ দিতেন শুভেন্দু।

Advertisement

সেই ছবিটাই বদলে গেল বৃহস্পতিবার। ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের মঞ্চে প্রধান বক্তা হিসেবে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে। রাজ্যে পালাবদলের পরে এই প্রথম ছোট আঙারিয়া দিবসে (৪ জানুয়ারি) গড়বেতায় হাজির থাকলেন শুভেন্দু। মুকুল রায়, ভারতী ঘোষের জমানা শেষে শুভেন্দুর এই সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১১ সালের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল (তখনও ঝাড়গ্রাম জেলা হয়নি) যখন আদিবাসী-আন্দোলনে জ্বলছে, তখন বারবারই লালগড়, বেলপাহাড়ি, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচির পুরোভাগে ছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূল রাজ্যপাটে আসার বছরখানেক পরে ছবিটা ধীরে ধীরে বদলে যায়। দলের তৎকালীন শীর্ষনেতা মুকুল রায় এবং জেলার পুলিশ সুপার পদে থেকেও বকলমে ভারতী ঘোষই হয়ে ওঠেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের মুখ্য নিয়ন্ত্রক।

Advertisement

তৃণমূলের অন্দরে সকলেই মানেন, শুভেন্দুর সঙ্গে ভারতীর সম্পর্ক কোনওদিন ভাল ছিল না। দূরত্ব ছিল মুকুল-শুভেন্দুরও। ২০১৬ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর বিরোধী শিবিরের নেত্রী হিসেবে পরিচিত মুকুল-ঘনিষ্ঠ শিউলি সাহা কেশপুর থেকে বিধায়ক হয়ে যাওয়ায়, শুভেন্দুর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সমীকরণটাই পাল্টে যায়।

পাশা এখন পাল্টেছে। মুকুল গিয়েছেন বিজেপিতে। আর পুলিশের সুপারের পদ থেকে বদলির পরে ভারতী পুলিশের চাকরিতেই ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দুর গুরুত্ব আগামী দিনে বাড়বে এবং ছোট আঙারিয়া দিবসের মঞ্চ থেকেই তার সূচনা হল বলে মত জেলা তৃণমূলের একাংশ নেতাই।

২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে আগুন দিয়ে বেশ ক’জনকে খুন ও দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সেই স্মৃতি উস্কে এ দিন শুভেন্দু বলেন, “প্রায় দু’মাস আগে নান্টিদা এখানে আসতে হবে বলেছিলেন। এককথায় সম্মতি দিই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement