নতজানু: বিষ্ণুপদ রায়কে প্রণাম শুভেন্দুর। ঝাড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের যুযুধান দু’পক্ষকে দু’পাশে বসিয়ে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে শহর তৃণমূলের উদ্যোগে ও তৃণমূলের জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সহযোগিতায় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। মঞ্চে শুভেন্দুর দু’পাশের সারিতেই বসেছিলেন জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদে সোম ও মঙ্গলবার মাধবী ও উজ্জ্বলের মধ্যে বিবাদ হয়। নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মুর প্রস্তাবিত রাস্তা তৈরিকে ঘিরে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের তিনটি রাস্তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দুলাল। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক সভাপতির সঙ্গে আলোচনা না করে মাধবী সরাসরি বিধায়কের প্রস্তাব মতো রাস্তা তৈরির বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করায় গোলমাল তুঙ্গে ওঠে। মাধবী এ বিষয়ে উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানান। উজ্জ্বলও ঘনিষ্ঠমহলে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি জেনে উজ্জ্বলকে শুভেন্দু বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ নেন। অনুষ্ঠান শেষে সংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী থাকতে কোনও ইস্তফা বা গণইস্তফা হবে না। সব ঠিক আছে।’’
শুভেন্দুর দু’পাশে দুই যুযুধান। সরাসরি কিছু না বললেও সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আজ একটি পবিত্র দিন। আজ আর রাজনৈতিক কচকচানি নয়। আমি ভাল তুই খারাপ, জবাব চাই, জবাব দাও এগুলো আজকে নয়।’’ কয়েকদিন আগেই টিএমসিপি-র সাঁকরাইল ব্লক ও ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লকের দুই সভাপতি সহ টিএমসিপি-র কিছু সদস্য গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। এ দিন শুভেন্দুর কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লকের পদত্যাগী টিএমসিপি-র নেতা-কর্মীদের দেখা যায়। অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিক্ষকদের সঙ্গে বর্ষীয়ান সমাজসেবী বিষ্ণুপদ রায়কেও সংবর্ধনা জানান শুভেন্দু। এমনকি, বিষ্ণুপদের পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন শুভেন্দু।
দলীয় অনুষ্ঠানের আগে একলব্য স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু।