রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।—ফাইল চিত্র।
রাস্তায় গাড়ি পরীক্ষার অজুহাতে সাধারণ মানুষকে জরিমানা করার পাশাপাশি মামলায় জেরবার করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগে দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি পরীক্ষার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর। গাড়ি পরীক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার না করার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ট্রাফিক বিধি মেনে গাড়ি চালাতে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তার পরই সোমবার তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতে সপ্তাহ ব্যপী পথ নিরাপত্তা সচেতনতা অভিযানের উদ্বোধন করে শুভেন্দু একই মন্তব্য করেন। পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ২০১৬ সালে থেকে ‘সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ কর্মসূচি’ চালু হয়। তার পর আগের চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমেছে।’’ গাড়ি পরীক্ষার প্রসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অধিক পরিমাণে জরিমানা আদায়, অধিক পরিমাণে মানুষকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্যে নয়। এটা মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। তার মানে এই নয় যে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় উন্মাদের মতো গাড়ি চালাব, জাতীয় সড়কে নিয়ম মানব না। এর বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
জেলার জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়াতে সিসি ক্যামেরা সহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দেন পরিবহণ মন্ত্রী। এ দিন পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে স্কুলপড়ুয়ার মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ ও জেলা পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার প্রমুখ। এই উপল্লক্ষে একটি বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল র্যালি হয়।