Tamralipta

নিজেকে নিয়ে চুপ, শুভেন্দুর ভোট-খোঁচা 

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েই গত কয়েক মাসে বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। যার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদ সভা এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবীদের স্মরণসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:০৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন বুধবার। বৃহস্পতিবার ছেড়েছেন তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ। এর পরেই এ দিন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস স্মরণ উপলক্ষে তমলুকের নিমতৌড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে অতীতের তাম্প্রলিপ্তের গৌরব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, তাঁর কটাক্ষ, অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা শহিদদের ইতিহাস জানেন না। তাঁরা শুধু ভোট চাই, ভোট দাও বলেই বারবার ‘হাত পাতেন’।

Advertisement

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েই গত কয়েক মাসে বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। যার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদ সভা এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবীদের স্মরণসভা। ওই দু’টো বিষয়কেই তাঁকে সম্প্রতি হাতিয়ার করতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবারের পরে এ দিন তমলুকের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর যোগ দেওয়া এবং কী বলবে তিনি অস্ত্র শানাবেন, সে দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের।

এ দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিপ্লবীদের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু। সভায় পরাধীন ভারতে মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের ভূমিকা ও তাঁদের গড়া ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠা দিবসের স্মরণ তাৎপর্য তুলে ধরেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়ার নেতৃত্বে ২১ মাস ধরে চলা এই তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ব্রিটিশরা ফেলে দিতে পারেনি। তাম্রলিপ্তের ঐতিহ্য, গরিমা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে মানুষের কাছে এই অতীতটাকে বারে বারে তুলে ধরতে হবে।’’

Advertisement

পাশাপাশি, শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, ‘‘যাঁরা মাতঙ্গিনী হাজরার আত্ম বলিদান, ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবস, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস জানেন না, এর ইতিহাস জানে না, তাঁরা কেবলমাত্র ভোট চাই, ভোট দাও, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও করে। কিন্তু শুধু এটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবেনা। পরিসরটা বাড়াতে হবে।’’ রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, নাম না করে তৃণমূল সরকারকেই ওই কটাক্ষ করছেন শুভেন্দু।

শুভেন্দুর কথায়, ‘‘সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়া, মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুরা যদি আমাদের স্বাধীনতা না দিতে পারতেন, তাহলে এই জায়গায় আমরা আসতে পারতাম না। তাই তাম্রলিপ্তের ঐতিহ্য, জাতীয় সরকারের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দ্বায়বদ্ধতা।’’

এ দিন শুভেন্দুর বক্তৃতায় একাধিকবার ‘জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম ধ্বনি শোনা গিয়েছে। বক্তৃতা শেষে ‘তাম্রলিপ্ত সরকার কী জয়’, ‘সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত কী জয়ে’র মতো হিন্দি সুরেও শ্লোগানও দিয়েছেন। সভার পরে স্মৃতি সৌধপ্রাঙ্গণ থেকে নিমতৌড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রায় যোগ দেন শুভেন্দু। এ দিনের সভায় ছিলেন সভায় বিপ্লবী চিত্তরঞ্জন সামন্ত, প্রাক্তন বিধায়ক ব্রহ্মময় নন্দ-সহ শুভেন্দু অনুগামী তমলুক ও হলদিয়ার কয়েকজন তৃণমূল নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement