অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সভাকে ‘কুৎসা সমাবেশ’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা পর হলদি নদীর অপর পারে অবস্থিত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে পাল্টা আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু।
রবিবার নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার হয়। সেখানে যোগ দেন শুভেন্দু। শনিবার হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে অভিষেক যে ভাবে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন, তাতে শুভেন্দু কী জবাব দেন, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিষেকের নাম না করে বলেন, ‘‘গত কাল শ্রমিক সমাবেশের নামে কুৎসা সমাবেশ হয়েছে। তিনি ৪২ জন সাংসদের মধ্যে এক জন। সেখানে আড়াই থেকে তিন হাজার পুলিশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। যদি কাল চার-পাঁচটা জেলায় বড় ঘটনা ঘটত, ব্যাঙ্ক ডাকাতি হত বা খুন হত, তা হলে সেখানে কাউকে পাওয়া যেত না। কারণ সকলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভাইপোকে সুরক্ষিত করার জন্য। এই ব্যবস্থাটা দেশের কোনও রাজ্যে নেই। যেটা পশ্চিমবঙ্গে আছে।’’ অভিষেকের আক্রমণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি ওঁর কোনও কথার উত্তর দেব না। কারণ তিনি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন।’’ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে নিশানা করে শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘‘অধিকারী পরিবার ছিল বলে ওঁর পিসিমণি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর উনি দিল্লি থেকে এসে ক্ষীর খাচ্ছেন।’’
রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরাও সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে মোটেও খুশি নই। প্রমাণিত চোরদের ডেকে নিয়ে কেন জামাই আদর করছে! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি তো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়ে শতাধিক ছেলেমেয়ে পাশ করেছে, এখানে প্রমাণিত। অথচ তাঁকে ডেকে ১০-১১ ঘণ্টা এসি রুমে রেখে, চা খাওয়ানোর তো কোনও মানে হয় না।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।