প্রতীকী ছবি।
হাঁসফাঁস অস্বস্তির গরমে কিছুটা স্বস্তির আশা জোগাল কেরল। রবিবারই ভারতের বর্ষাতোরণ এই দক্ষিণের রাজ্যটিতে মৌসুমী ঢুকেছে। মৌসম ভবন সেই ঘোষণা করে জানিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের তিন দিন আগেই ভারতে ঢুকল বর্ষা।
সাধারণ ভাবে ভারতে বর্ষা ঢোকার দিন হিসেবে জুন মাসের ১ তারিখকেই ধরা হয়। তবে সব সময় যে দিন ক্ষণ মেনে বর্ষা ঢোকে তা নয়। বঙ্গোপসাগরের উপরে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাতাসের মর্জির উপর নির্ভর করে পুরোটাই। কখনও সে তিথি মেনে আসে। কখনও অপেক্ষা করিয়ে রাখে। কখনও আবার সময়ের আগেই এসে হাজির হয়।
মৌসম ভবনের রেকর্ড বলছে, গত ১০ বছরে ১ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছে দু’বার। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে প্রায় এক সপ্তাহ দেরি করেছে বর্ষা। আবার মে মাসেই বর্ষা চলে এসেছে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে। শেষ ২০১৮ সালে ২৯ মে বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। যেমনটি এ বার হয়েছে। ১ জুনের বদলে ২৯ মে উপসাগর থেকে ভারতের স্থলভাগে প্রবেশ করেছে বর্ষা। এর পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বাংলাতেও বর্ষা আগেই আসবে?
জেনে রাখা দরকার, বাংলায় বর্ষা উত্তর দিক হয়ে ঢোকে। অর্থাৎ প্রথমে উত্তরবঙ্গে আসে বর্ষা। তার পর দক্ষিণবঙ্গে। সাধারণত জুনের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। তবে কেরলে তিন দিন আগে পৌঁছনো বর্ষা উত্তরবঙ্গেও সময়ের আগে কড়া নাড়বে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করেনি মৌসম ভবন। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এ বছর একটু আগে আগেই পৌঁছে যাচ্ছে সর্বত্র। যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে বাংলায় এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষামঙ্গলের আশা করা যেতেই পারে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।