শুভেন্দুর নিশানায় বেলারানি

দীর্ঘদিন এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন বেলারানি। গত ২০১৫ সালেও পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়ে পুরবোর্ড গঠনের সময়ে তৃণমূলে চলে যান ওই কাউন্সিলর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৩
Share:

কৌশল্যায় দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

ভোটের মুখে দল বদলে বিজেপিতে ফিরে গিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এ বার প্রচারসভায় ‘হিসাব মেলানো’র কথা বলে কাউন্সিলরকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী!

Advertisement

খড়্গপুর সদর (শহর) বিধানসভা উপ-নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার কৌশল্যা মোড়ে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে এসেছিলেন শুভেন্দু। কৌশল্যা মোড়টি ২৫নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। দীর্ঘদিন এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন বেলারানি। গত ২০১৫ সালেও পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়ে পুরবোর্ড গঠনের সময়ে তৃণমূলে চলে যান ওই কাউন্সিলর। পান পুর-পারিষদের পদ। তবে গত লোকসভা নির্বাচন থেকে তৃণমূলের সভা-মিছিলে দেখা যাচ্ছিল না বেলারানিকে। সম্প্রতি বেলারানিকে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা-সহ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে একটি সভায় দেখা গিয়েছিল। পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বেলারানি বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। আরও অনেক কাউন্সিলর বিজেপিতে আসবেন বলেও দাবি করেন দিলীপ। এ দিন শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখানে একজন কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি কতবার কত পতাকা ধরেন তার ঠিক নেই।’’ বেলারানিকে কার্যত হুমকির সুরে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “বেলা দিদিমনিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক বেআইনি বাজির কারবারি। তার নামও আমি পেয়েছি। লাইসেন্স ছাড়া বাজির ব্যবসা করছেন। পিতা-পুত্র বেলা অধিকারীকে নিয়ে ঘুরছেন। সব চন্দ্রগুপ্তের ডায়েরিতে লেখা থাকছে। ২৮ নভেম্বর জিতব। তার পরে সব হিসাব মিলাব।”

কে বেআইনি বাজির কারবারি, কে পিতা-পুত্র তা স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু। তবে বলেছেন, ‘‘উনি (বেলারানি) আপনাদের ওয়ার্ডের লোকেদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে আমাদের ভোট দিয়েছিলেন। বিনিময়ে কী পেয়েছিলেন সেটা ২৮ নভেম্বরের পরে বিজয়সভায় বলে দেব।” বেলারানির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফোন বন্ধ ছিল। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement