বুথপিছু অন্তত ১০০জনকে সমাবেশে নিয়ে যেতে হবে। যেখানে ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে, সেখানের কর্মী-সমর্থকদের ট্রেনে করেই সমাবেশে যেতে হবে। বাসে কিংবা অন্য কোনও গাড়িতে করে যাওয়া যাবে না। দলের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার জন্য ব্লক নেতৃত্বকে এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে জেলা তৃণমূল।
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মানছেন, ‘‘ব্লক নেতৃত্বকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ থেকে অন্তত যাতে ১০০ জন সমাবেশে যান, সেই প্রস্তুতি সারতে বলা হয়েছে।’’ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সব ব্লকের পক্ষে সম্ভব? বিশেষ করে কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড়ের মতো ব্লকে? যেখানে গেল পঞ্চায়েত ভোটে দলের পায়ের তলার মাটি অনেকটা সরে গিয়েছে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত বলেন, ‘‘কিছু এলাকায় সংখ্যাটা উনিশ-বিশ হতে পারে। তবে কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড়ের পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় দল অনেক শক্তিশালী হয়েছে।’’
সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পৌঁছেছে দলের ব্লক নেতৃত্বের কাছে। কেমন? নেতৃত্বের নির্দেশ, বাসে করে নিকটবর্তী স্টেশন পর্যন্ত আসা যেতে পারে। তবে ট্রেনে করেই হাওড়া পৌঁছতে হবে। হাওড়া থেকে মিছিল করে ব্রিগেড। তৃণমূলের জেলা সভাপতিরও দাবি, ‘‘জেলা থেকে দলের বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করেই সমাবেশে যাবেন। ব্লক স্তরে সেই মতো পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে ওই দিন কলকাতায় প্রচুর ভিড় হবে। অনেক বাস হাওড়া পেরোতে পারবে না। তাই এই নির্দেশ।’’ আগামী ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। কলকাতার সমাবেশে যাওয়ার জন্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ বাসই ভাড়া করতেন। এটাই ছিল দস্তুর। এতে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতৃত্বের একাংশ মনে করেন, ব্লকস্তরের বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে সমাবেশে গেলে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠবে না। কারণ, বাস ভাড়া করার জন্যই টাকার দরকার হত। নেতৃত্বের ওই অংশ মানছেন, এতে একদিকে বাস ভাড়া বাঁচবে, অন্য দিকে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা দেখা দেবে।