সুজন চক্রবর্তী।
‘যিনি গবেষণা করলেন তিনি ব্রাত্য’। দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দে্ওয়ার জন্য ইউনেসকো-কে ধন্যবাদ দিতে মিছিলের আয়োজনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এ দিন আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরোধী-শান্তি-সংহতি দিবস পালনে হলদিয়া মহাকুমায় বামফ্রন্টের ডাকে মহামিছিল হয়। বামেদের ‘চোর ধরো জেল ভরো’ কর্মসূচিতে নন্দীগ্রাম আসেন সুজন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘সর্বজনীন দুর্গাপুজোকে উনি দাদা-দিদির উৎসবে পরিণত করেছেন। যে কোনও ধরনের অনুষ্ঠানকে উনি রাজনীতির খেলায় পরিণত করেছেন। আশা করব মুখ্যমন্ত্রী যেন দুর্গাপুজোকে কলুষিত না করেন। উনি এমন দেখাচ্ছেন যেন উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই বাংলার মানুষ দুর্গাপুজো সম্বন্ধে জেনেছে। যে গবেষক গবেষণা করে পুরস্কার নিয়ে এলেন তিনিই ব্রাত্য।’’
এদিন নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। বাইপাস ও নন্দীগ্রাম থানা হয়ে মিছিল ফের ফিরে আসে বাসস্ট্যান্ডেই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ একাধিক বাম নেতা-কর্মী। হাজার দুয়েক বাম কর্মী-সমর্থক মিছিলে পা মেলান। মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
মেচেদায় মিছিল থেকে সাম্রাজ্যবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। এগরা মহকুমায় পটাশপুরের মতিরামপুর পেট্রল পাম্প থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন বামেরা। মিছিলে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান ওঠে। মিছিল শেষে বাঙ্গুচকমোড়ে পথসভা হয়।