কর্মশালায় পড়ুয়াদের তৈরি নানা মডেল। নিজস্ব চিত্র
কেউ বানিয়েছে গাছের পাতার সাহায্যে উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে স্বয়ংক্রিয় পথবাতি। কেউ বানিয়েছে ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট সেতু। যা সেতুতে উঠতে বাধা দেবে অতি ভারী গাড়িগুলিকে। কেউ তৈরি করেছেন সূর্যের রশ্মি প্রতিরোধক টুপি। পড়ুয়াদের হাতে তৈরি ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট সেচ ব্যবস্থা, স্মার্ট ডাস্টবিন থেকে স্মার্ট সিঁড়ি থেকে মুড়ি থেকে সহজে ছাতু তৈরি করার যন্ত্র। মঙ্গলবার ভগবানপুর-১ ব্লকের দেউড়িবাড় কিরণ প্রভা বিদ্যামন্দির আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিল এক গবেষণাগার।
স্কুলের উদ্যোগে ‘বিজ্ঞান মনস্কতায় সামাজিক সচেতনতা’ বিষয়ে দু’দিনের কর্মশালা শেষ হল এ দিন। ২১ জুলাই কর্মশালার প্রথম দিন ডেঙ্গি সচেতনতা, জল সংরক্ষণ, সবুজের খোঁজে বনসৃজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিল আলোচনা। দ্বিতীয় দিনের বিষয় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প অটল টিঙ্কাকারিং ল্যাবের ‘টিঙ্কার ফেস্ট প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্কতায় আগ্রহী করে তোলা। ভারত সরকারের ‘নীতি আয়োগ’-এর আর্থিক অনুদানে স্কুলে তৈরি হয়েছে ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’। যেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি তাদের হাতে কলমে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রপাতি তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টিঙ্কারিং ল্যাবের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক স্বদেশ রঞ্জন বেরা বলেন, ‘‘আগামীদিনে বিজ্ঞান নিয়ে উৎসাহ বাড়াতে ও সমাজকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই বিজ্ঞান কর্মশালার আয়োজন।’’ উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস, পালপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিমলেন্দু শেখর মান্না-সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
সেই সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল চক্ষু পরীক্ষা শিবির। বনসৃজনের লক্ষ্যে স্কুলের পক্ষ থেকে স্কুলচত্বরে শতাধিক গাছ লাগানো হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে গাছের চারা দেওয়া হয়। দু’দিনের কর্মশালায় চারটি স্কুলের ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তৈরি বিজ্ঞানের নানা মডেল প্রদর্শিত হয়েছে।