Contai Student

কাঁথির আয়ুর্বেদ কলেজে নির্মীয়মাণ হস্টেলের তিন তলা থেকে নীচে পড়লেন ছাত্রী! অবস্থা আশঙ্কাজনক

কাঁথির আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের হস্টেলের তিন তলা থেকে নীচে পড়ে গিয়েছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১
Share:

কাঁথির আয়ুর্বেদ কলেজ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতায়। — নিজস্ব চিত্র।

কাঁথিতে আয়ুর্বেদ কলেজের নির্মীয়মাণ হস্টেলের ছাদ থেকে নীচে পড়ে গেলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে রাতেই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁথির আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের হস্টেলের একটি নতুন ভবন তৈরি করা হচ্ছিল। তিন তলা উঁচু ওই ভবনটিতে ছাত্রছাত্রীরা থাকতেন না। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় সেখানে কারও যাতায়াতও ছিল না। রাতে কর্মীরা কাজ শেষ করে সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রী কী ভাবে নির্মীয়মাণ ভবনের তিন তলায় উঠে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী ভাবে তিনি নীচে পড়ে গেলেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কি না, অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হবে।

কলেজের অন্য ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে আচমকা তাঁরা তীব্র শব্দ শুনতে পান। সকলে বাইরে ছুটে এসে দেখেন, ছাত্রী হস্টেলের নতুন ভবনের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন আয়ুর্বেদ কলেজের সম্পাদক সুকোমল মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছি। আমার গাড়ি করেই ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তাদের অনুরোধে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কী ভাবে তিনি নীচে পড়ে গেলেন, তা জানা যায়নি। ওঁর বান্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, উনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। হস্টেলের উপরের তলায় তালা লাগানোর কথা। তার পরেও কী ভাবে ছাত্রী তিন তলায় উঠলেন, তা তদন্তে জানা যাবে।’’

Advertisement

কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, ক্যাম্পাসে আলো খুব কম। ঘটনার সময়ে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও সেখানে ছিলেন না। ওই ছাত্রীকে মোবাইলে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন সহপাঠীরা।

কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা যিশু মাল বলেন, ‘‘কাজ সেরে রাতেই কর্মীরা ফিরে গিয়েছিলেন। প্রতিটি তলা বন্ধ করা ছিল। সাধারণ ভাবে সেখানে কারও যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তার পরেও অত উঁচুতে কী ভাবে উঠে গেলেন ওই ছাত্রী, তা পরিষ্কার নয়।’’

খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশও। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement