উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহান্তে পারদ পতনের সম্ভাবনা। —ফাইল চিত্র।
সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা কমতে পারে রাজ্যে। উত্তরে হিমালয়ঘেঁষা এলাকা এবং দক্ষিণে গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে ১৫ নভেম্বরের আগে সেই সম্ভাবনা নেই। এখনই শীতের আগমন নিয়েও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস।
আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কোথাও আর বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার হেরফের হবে না বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার পর থেকে দিন দুয়েকের জন্য রাতের পারদে পতন হতে পারে। তাপমাত্রা কমতে পারে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে। পাহাড়ঘেঁষা এলাকায় আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গেও তার পরের দু’দিন রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে। ফলে সপ্তাহান্তে শীতের আমেজ দেখা দিতে পারে উত্তর থেকে দক্ষিণে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি এই মুহূর্তে কোনও নিম্নচাপের সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপ রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। তার প্রভাবে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই তাই উত্তুরে হাওয়ার দরজা খুলে যাচ্ছে। সেই কারণে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরি আছে। আলিপুর তা নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেয়নি।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি বেশি। রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি বেশি। সারা দিন আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে কলকাতায়। বিকেলের দিকে সামান্য মেঘলা আকাশের দেখা মিলতে পারে।