Coronavirus Lockdown

সংক্রমণ বাড়তেই লকডাউনে কড়াকড়ি

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার সংক্রমণের বাড়াবাড়িতে জেলার চার পুরসভা এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কাঁথির সমস্ত ওয়ার্ড। কাঁথি-সহ ওই সমস্ত পুর এলাকা, এগরা, পাঁশকুড়া এবং তমলুকে কঠোর পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিধায়ক পুত্র তথা জেলা যুব তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। রবিবার তার লালারসের নমুনার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পরে তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

প্রশাসনের নির্দেশ মেনে রবিবার সন্ধ্যা থেকে কাঁথি শহর এলাকায় পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই কাঁথি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী শহরের সর্বত্র অভিযান চালায়। দারুয়া এবং সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয়দের জমায়েত হটিয়ে দেয় তারা। সোমবার সকাল থেকে পুরসভা মাইকে শহর জুড়ে প্রচার চালায়। আগামী এক সপ্তাহ আনাজ, মাছ এবং ওষুধের দোকান বাদে সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সত্যেন্দ্রনাথ জানা বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে শহরে পুনরায় লকডাউন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ যাতে সরকারি বিধি সকলে মেনে চলে তার জন্য মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।’’ তবে এ দিন কাঁথিতে সুপার মার্কেট খোলা ছিল। কিন্তু ক্রেতাদের সেরকম ভিড় চোখে পড়েনি।

এগরা পুর এলাকায় এ দিন থেকে মাইকে করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে এগরা থানার পুলিশ। রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। সপ্তাহে তিনদিন— মঙ্গল, শুক্রবার এবং রবিবার ফল, আনাজ, মাছ বাজার ও মুদি দোকান খোলা হবে। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ দিন এগরার রাস্তাঘাটে ভিড় ছিল কমই। দিনভর চলেছে পুলিশি টহলদারি।

Advertisement

পাঁশকুড়ায় যথেষ্ট কড়া পুলিশ ও প্রশাসন। আগেই স্টেশনের পাইকারি আনাজ বাজার বন্ধ করা হয়েছিল, এবার পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার-সহ শহরের প্রত্যকেটি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল দেয়। স্টেশন বাজারে ঢোকার দুটি মূল রাস্তায় গার্ডরেল দেওয়া হয়েছে। পুরাতন বাজার থেকে প্রতাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত শহরের মূল রাস্তাটি এ দিন ছিল কার্যত সুনসান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement