পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করছে বামেরা। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘট বৃহস্পতিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করছে বামেরা। মেদিনীপুর, গড়বেতা, কেশপুর, খড়্গপুর, বেলদা, নারায়ণগড়, কেশিয়ারি, দাঁতন, মোহনপুর, পিংলা, সবং, ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, শালবনী-সহ জেলার সব ব্লকেই ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও পথসভা করেছে তারা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমন ধর্মঘটকে অনেকে ভালো চোখে নিচ্ছেন না। অনেকে আবার ধর্মঘটকে সমর্থন জানাচ্ছেন। বুধবার সকাল থেকেই বাজার, দোকান, বাস স্ট্যান্ড, অফিসগুলিতে ধর্মঘটের প্রভাব কতটা পড়বে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন অবরোধ করা হবে মেদিনীপুর, খড়্গপুর, বেলদা, হিজলি, গড়বেতা, বালিচক-সহ অন্যান্য স্টেশনে। পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। ডেবরা, দাঁতন এলাকায় জাতীয় সড়ক এবং গড়বেতাতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হবে। কেন্দ্রীয় অফিস, ব্যাঙ্ক, জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার উপর থাকবে ছাড়। খড়্গপুর, শালবনী এলাকারকারখানাতে ধর্মঘট সফল করা হবে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিন্হা। তিনি বলেন, ‘‘কৃষি বিল-সহ ৭ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও আমাদের আন্দোলন। সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলি শামিল হবে এই ধর্মঘটে।’’
তবে বামেদের শক্তি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত কুমার দাশ। তিনি বলেন, ‘‘ওরা ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে জানান দিচ্ছে নিজেদের অবস্থান। সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। এই ধর্মঘটে জেলায় কোন প্রভাব পড়বে না।’’
তৃণমূল যদিও বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটবে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘আগামীকালের ধর্মঘটে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা হবে।’’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তারা।