তাজপুরে পরিদর্শনে পর্যটনমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি এবং তাজপুর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তা খতিয়ে দেখতে দিঘায় এসেছিলেন রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সোমবার তাজপুর এবং মন্দারমণি ঘুরে দেখেন পর্যটনমন্ত্রী। পরে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলমালিকদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘‘পাঁচটি হোটেল মালিক সংগঠনকে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে গোটা এলাকার কী কী ক্ষতি হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা পর্যটন দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পর্যটন দফতর অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সমাধানের চেষ্টা করবে।’’
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলগুলির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল কর্তৃপক্ষের আবেদনগুলি রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার পর্যটন সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে। হোটেল মালিকেরা ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিলে সরকার সেই ঋণের সুদের সর্বাধিক ৫০শতাংশ টাকা দেবে।’’
রবিবার দিঘা সফরে এসে ন্যায়কালী মন্দির পরিদর্শনে যান ইন্দ্রনীল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মন্দিরের পাশে সমুদ্রে দু’টি ভাসমান হাউস বোট রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। একটি ভাসমান রেঁস্তোরাও থাকবে। পর্যটকরা হাউস বোটে রাত কাটাতে পারবেন।’’’ শঙ্করপুরে একটি নতুন পর্যটন আবাস তৈরির ভাবনাচিন্তা চলছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি হোটেল ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় দিঘা ট্যুরিস্ট লজে বৈঠক করেন মন্ত্রী। দিঘার উন্নতির জন্য কী কী করণীয় তা নিয়েওবিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে লকডাউন উঠে গেলে পর্যটন শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়ায় সে জন্য রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তবে হোটেল মালিকদের ক্ষতিপূরণ এবং ঋণ দেওয়ার ঘোষণায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে মন্দারমণিতে। কেননা সেখানে অধিকাংশ হোটেল, লজ সিআরজেড আইন না মেনেই তৈরি বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে তারা ঋণ পেলে পরবর্তীতে নিজেদের বৈধ বলে দাবি করতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। মন্দারমনি হোটেলিয়ার্স সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেবরাজ দাস বলেন, ‘‘৪৯টি হোটেলের পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র রয়েছে। ইয়াসে বেশ কিছু হোটেলে জল ঢুকে আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার সকলকেই ক্ষতিপূরণ দেবে বলে পর্যটনমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।’’ যদিও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘পর্যটনমন্ত্রী শুধুমাত্র হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শুনেছি। মন্দারমণির বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। যথা সময়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’