Soumendu Adhikari

কলেজে দুর্নীতি মামলা খারিজ, স্বস্তি সৌমেন্দুর

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রভাত কুমার কলেজের ভবন তৈরির দুর্নীতিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী আবু সোহেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৪
Share:

সৌমোন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের ভবন নির্মাণ নিয়ে যে দুর্নীতির মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল কাঁথি মহকুমা আদালত, তা খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে ফের দ্রুনীতির অভিযোগের তথ্য জোগাড় করে পুলিশ বা তদন্তকারী কোন সংস্থার কাছে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রভাত কুমার কলেজের ভবন তৈরির দুর্নীতিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী আবু সোহেল। পরে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো কাঁথি মহকুমা আদালতে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগকারী আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দেয় কাঁথি মহকুমা আদালত। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সৌমেন্দু হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলার তদন্তের পর কাঁথি থানার পুলিশ একাধিকবার সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’কেও একাধিকবার কলেজে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং নথি সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের জন্য জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শ্বেতা আগরওয়াল-সহ পাঁচ জনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীকালে সেই তদন্তের রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।

বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, কাঁথি মহকুমা আদালতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ দেওয়া হয়নি। তাই নিম্ন আদালত যে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হল। অর্থাৎ নিম্ন আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে এফআইআর রুজু করেছিল পুলিশ, তা আপাতত আর থাকছে না বলেই আইনজীবী মহলের দাবি। একই সঙ্গে জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্ট সরকার পক্ষের আইনজীবীকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর বলা হয়, জেলাশাসক ফের তদন্ত করে দেখুক প্রভাত কুমার কলেজে পরিচালন কমিটি বা প্রশাসনিক স্তরে আর কারা জড়িত, তাদের ভূমিকা কী। তারপর জেলাশাসক চাইলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ বা অন্য কোন আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থার কাছে সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই নির্দেশ হাই কোর্টের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়।

Advertisement

হাই কোর্টের এই নির্দেশের পর শুক্রবার সৌমেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সত্য সূর্যের মতো। কিছু সময়ের জন্য অস্ত যায় কিন্তু চিরতরে হারিয়ে যায় না। প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির মামলায় দায়ের করা এফআইআর খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাই কোর্ট। পরিকল্পিত কুৎসা অপপ্রচারের কিছুদিন বাদে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হয়’। তবে মামলাকারী তথা আইনজীবী আবু সোহেল বলছেন, ‘‘হাই কোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা করেছিলাম। তার নির্দেশের কপি এবং পুলিশের প্রাথমিক একটি তদন্ত রিপোর্ট-সহ কাঁথি মহকুমা আদালতে আবেদন করেছিলাম। তার ভিত্তিতে বিবেচনা করে নিম্ন আদালত এফআইআর করার অনুমতি দিয়েছিল। কিছু সমস্যার কারণে হাই কোর্ট সেই মামলাটি কোয়াস করেছেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। তবে, এই বিষয়টিও বিচারপতি রেখেছেন যে, তাতে জেলাশাসক আবারও তদন্ত করবেন এই মামলায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement