স্মৃতি ইরানিকে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিত। নিজস্ব চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহর তথা কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রেই 'বুথ স্বশক্তিকরণ' কর্মসূচিতে পিছিয়ে গেরুয়া শিবির! আর জেলা সফরে এসে সে বিষয়ে জানতে পেরে ওই কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি, সংগঠনের ভিত শক্ত করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
কেন্দ্রে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রস্তুতির অন্যতম অঙ্গ হিসাবে যেখানে দল পরাজিত, সেই সব লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শক্তি বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সব কেন্দ্র জিতে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকার গড়তে আসন সংখ্যা বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। আপাতত সেই সব আসনের সমীক্ষা শুরু করেছে বিজেপি। দায়িত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বাংলার দায়িত্ব পেয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার ১৩ সদস্য। তার অঙ্গ হিসেবে কাঁথির দায়িত্বে রয়েছেন স্মৃতি। তিনি আগেও দুবার এসে ঘুরে গিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপির কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কোর কমিটি এবং জেলা নেতাদের নিয়ে স্মৃতি বৈঠক করেন। খেজুরির হেঁড়িয়ার ওই বৈঠকে ‘বুথ স্বশক্তিকরণ' কর্মসূচির অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি খোঁজ নেন।
জেলা নেতৃত্ব যে পরিসংখ্যান দেন, তাতে জানা যায়, কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় ১,৯১০টি বুথ রয়েছে। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ১,৮৬০ টি বুথ। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বুথে ওই কর্মসূচি সম্পূর্ণ। ১০ শতাংশ বুথে সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু বাকি ৪০ শতাংশ বুথে স্বশক্তিকরণ কর্মসূচি এগোয়নি। বৈঠকে ওই বিষয়টি জানতে পেরে আগামী দিনে সংগঠন আরও মজবুত করার জন্য স্মৃতি কিছু দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন জেলা নেতাদের। আগামী ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১০০তম মন কি বাত কর্মসূচি রয়েছে। ওই কর্মসূচি গোটা লোকসভা কেন্দ্রের ১০০ জায়গায় দেখানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। প্রতি জায়গায় ১০০ জন যাতে উপস্থিত হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এদিন ঘন্টাখানেক থাকার পর কলকাতা রওনা দেন স্মৃতি।
কয়েকদিন আগে বাংলায় এসে আগামী লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন জয় করার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারীর নিজের এলাকায় সংগঠনের হাল এভাবে উঠে আসায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
গত বিধানসভা ভোটে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতে জয়ী হয় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের এলাকায় কেন বুথ স্বশক্তি করন কর্মসূচি সম্পূর্ণ করা যায়নি? এ ব্যাপারে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘‘প্রতি মণ্ডলে সংখ্যালঘু এলাকা রয়েছে। সেখানে বুথ স্বশক্তিকরণ বিঘ্নিত। তাছাড়া সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় সরাসরি কাজ সম্ভব হচ্ছে না। তবে এলাকার বাইরে বুথ সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে।’’