পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আজ, শুক্রবার কলকাতায় ‘শিশুমিত্র’ পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে থাকার কথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে পুরস্কার নিতে যাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। জেলার তিনটি স্কুল এ বার ‘শিশুমিত্র’ পুরস্কার পাচ্ছে— উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে শালবনির ভাদুতলা হাইস্কুল, প্রাথমিকস্তরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের পলাশি প্রাথমিক স্কুল এবং চন্দ্রকোনা- ২ ব্লকের বালা প্রাথমিক স্কুল।
বালা প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ ধর বলেন, ‘‘শুক্রবার পুরস্কার নিতে যাচ্ছি। স্কুলের শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রীও সঙ্গে থাকবে।’’ এই স্কুলের শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ শ্রেণির রুদ্র পাত্র। পলাশী প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্র বলেন, ‘‘স্কুলের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়েই কলকাতায় যাচ্ছি। শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রীও থাকছে।’’ এই স্কুলের প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় শ্রেণির অনন্যা মণ্ডল। ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘পুরস্কার নিতে মুখিয়ে রয়েছি। ওই অনুষ্ঠানে আমাদের স্কুল দলের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরাও থাকবে। শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রীও থাকছে।’’ এই স্কুলের শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রী নবম শ্রেণির অর্পণ সাঁতরা। পুরস্কার নিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রীরাও। অর্পণ, অনন্যা, রুদ্রদের কথায়, ‘‘এত বড় অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে দারুণ লাগছে।’’
সমগ্র শিক্ষা মিশনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ‘শিশুমিত্র’ স্কুলগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে। জানা যাচ্ছে, শিক্ষা মিশনের নির্দেশেই প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবে স্কুলগুলির শিশু সংসদের (চাইল্ড ক্যাবিনেট) মন্ত্রীরা। শিশু সংসদে খাদ্য, শিক্ষা ও পরিবেশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতি থাকে। সমিতির দায়িত্বে থাকে মন্ত্রীরা। মন্ত্রীগোষ্ঠীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে খবর, স্কুলের পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার, মিড ডে মিলের খাবারের গুণগতমান, পানীয় জল, শৌচাগার -সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্যস্তরের প্রতিনিধি দল স্কুলগুলি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছে। এরপরই পুরস্কারের জন্য স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে।
জেলার পুরস্কার প্রাপক তিনটি স্কুলেই গত কয়েক বছর ধরে শিশুর উপযোগী আদর্শ পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে। পরিস্রুত পানীয় জল থেকে বাগান— সবই রয়েছে স্কুলে। রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যও। পলাশি প্রাথমিকে যেমন শিশু সমবায় রয়েছে, ভাদুতলা হাইস্কুলে তেমন কন্যাশ্রী ক্লাব রয়েছে। তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরাই মানছেন, এই পুরস্কার আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করার উৎসাহ জোগাবে।