প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে তমলুকে বেআইনিভাবে গাঁজা পাচারের অভিযোগে দুই মহিলা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কিলোগ্রাম গাঁজা।
শনিবার রাতে মেচেদা বাজারের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে কয়েকটি গাঁজার বস্তা বোঝাই টোটো সহ ওই পাঁচজনকে আটক ও পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি তমলুক থানার চনশ্বরপুর এলাকায়। উদ্ধার গাঁজা ও টোটো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে পূর্ব মেদিনীপুর সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গাঁজা পাচারের অভিযোগে আগেও একাধিক বার অভিযান চালিয়ে কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজা নিয়ে সড়কপথে গাড়িতে কিংবা পাচারকারী ব্যবসায়ীদের নিযুক্ত কর্মীরা যাত্রী সেজে দূরপাল্লার বাসে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় গাঁজা পৌঁছে দেয়।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, ওড়িশা থেকে মেচেদা হয়ে পাচারকারীরা গাঁজা নিয়ে আসছে তমলুকের দিকে। এরপরে পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় তমলুকের এসডিপিওর নেতৃত্বে কোলাঘাট থানার পুলিশ বাহিনী মেচেদা বাজারে কাছে এক জায়গায় অপেক্ষা করতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মেচেদা বাজার থেকে হলদিয়ার দিকে আসা একটি টোটো সহ কয়েকটি বস্তা ও দু’জন মহিলা সহ চার আরোহী ও টোটো চালককে আটক করে পুলিশ। বস্তায় তল্লাশি করে প্রায় ৪০ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। তারপরেই পুলিশ টোটোর চার আরোহী ও চালককে গ্রেফতার করে।
তমলুকের এসডিপিও সাকিব আহমেদ বলেন, ‘‘আমাদের আছে খবর ছিল, মেচেদা থেকে তমলুকের দিকে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরেই মেচেদার কাছে হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে একটি টোটোতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। গাঁজা পাচারে জড়িত টোটোচালক সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে পাচার চক্রের সাথে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’